শিলিগুড়ি, 16 জানুয়ারি: ঋণে জর্জরিত পরিবার । সঙ্গে বারবার পাওনাদারদের তাগাদা । অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে । একই সঙ্গে বাড়ি থেকে তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ ৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার উত্তর সমরনগরের বউবাজার এলাকায় ৷
ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ । পুলিশ দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে । মৃতরা হলেন, শ্যামল রায়(27), স্ত্রী টুম্পা রায়(22) ও ওই দম্পতির ছয় বছরের সন্তান পিন্টু রায় । শ্যামল রায় পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন । অভিযোগ, তিনি গভীর রাতে স্ত্রী ও সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে খুন করেন ৷ পরে নিজে চরম সিদ্ধান্ত নেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামল ও টুম্পা রায়ের সাত বছরের দাম্পত্য জীবন । আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল ওই পরিবার । আর তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে চলছিল অশান্তি । পাওনাদারদের বারবার তাগাদায় অতিষ্ঠ হয়েই এই পরিণতি বলে দাবি মৃতের পরিবারের ।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং বলেন, "সমরনগর এলাকায় একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছে । তার মধ্যে একজন মহিলা ও একটি শিশু রয়েছে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে । কেন এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।"
টুম্পা রায়ের বাবা কালীপদ রায় বলেন, "অনেক ঋণ হয়ে গিয়েছিল । পাওনাদাররা খুব কথা শোনাতো । আর তা নিয়ে সম্প্রতি বাড়িতে খুব ঝামেলাও শুরু হয় ৷ নাতি আমাদের বাড়িতেও ছিল । রাতে মাংস নিয়ে আর নাতিকে নিয়ে যায় জামাই । সকালে যে এমন ঘটনা ঘটাবে ভাবতেই পারছি না ।" এলাকাবাসী বাবলু বর্মনের কথায়, "মর্মান্তিক ঘটনা । এভাবে একটা গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেল । তবে ঋণের কারণে এই ভয়ানক পরিণতি বলে শুনেছি । তবে পুলিশ সব খতিয়ে দেখুক ।"