বারাসত, 27 জুলাই: সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সেনাকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত উজ্জ্বল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। ঘটনার জেরে শনিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গায়। যদিও অভিযুক্তের পরিবারের তরফে ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাবা জলধর মণ্ডল দেগঙ্গার সোহাই-শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ৷ এলাকায় যথেষ্ট দাপট রয়েছে তাঁর ৷ সেই সূত্রে নির্যাতিতা ওই মহিলা কয়েকমাস আগে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জলধর মণ্ডলের কাছে যান ৷ অভিযোগ, তিনি সেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন ৷ বাবার ওই আশ্বাসের সুযোগ নেয় উপপ্রধানের ছেলে ৷ সে সেনাকর্মীর স্ত্রী'কে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷
ওই নির্যাতিতার স্বামী পঞ্জাবে কর্মরত ৷ সম্প্রতি, তিনি অভিযোগ জানান বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের কাছে ৷ অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসে বারাসত জেলা পুলিশ ৷ বিষয়টি নিয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয় নির্যাতিতা মহিলার থেকে ৷ এনিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে শনিবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে ৷
এদিকে, শাসকদলের নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করায় ভয়ে সেনাকর্মীর পরিবার ঘরছাড়া বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা ঘিরে সরগরম দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর পঞ্চায়েত এলাকা ৷ এনিয়ে বিরোধীরাও আঙুল তুলতে শুরু করেছে শাসক শিবিরের দিকে ৷ তাঁদের দাবি, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি ৷ দোষও করবে ৷ আবার সেনিয়ে অভিযোগ করলে ফলও ভুগতে হবে ৷ যার থেকে ব্যতিক্রম নয় দেগঙ্গাও ৷
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও তৃণমূল নেতা জলধর মণ্ডল। এনিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। সেনা জওয়ানের পরিবারকে কেউই ভয় দেখায়নি। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় বাড়িছাড়া । এলাকা থেকে খোঁজ নিলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।