আসানসোল, 3 ডিসেম্বর:তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এক সবজি বিক্রেতাকে ঘুসি মারার অভিযোগ উঠল। জামুড়িয়ার কেন্দা বাজারের ঘটনা। অভিযুক্ত জামুরিয়া ব্লক (দুই) এর তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সিদ্ধার্থ রানা জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পদেও রয়েছেন।
স্থানীয়দের ক্যামেরায় ও একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সবজি বিক্রেতাকে মারধরের ছবি। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি কাউকেই মারধর করেননি। ঘটনার প্রতিবাদে জামুড়িয়া এলাকায় 14 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সবজি বিক্রেতাকে ঘুসি মারার ভিডিয়ো (ইটিভি ভারত) জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জামুড়িয়ার কেন্দা বাজারে রঞ্জিত বার্নওয়াল নামে এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে বচসায় জড়ান জামুরিয়া ব্লক (2)-এর তৃণমূল সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা। অভিযোগ এই বচসার মাঝেই ওই সবজি বিক্রেতাকে মারধর করেন তৃণমূল নেতা।
আক্রান্ত সবজি নেতা রঞ্জিত বার্নওয়াল জানান, "সিদ্ধার্থ রানা এসে আমার সবজির জিনিস পত্র সরিয়ে নিতে বলেন। তিনি আমাকে গালাগালি করেন। প্রতিবাদ করতেই আমাকে মারধর করেন তিনি।" যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সিদ্ধার্থ রানা। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বাজার এলাকায় যারা রাস্তা দখল করে রেখেছে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই মতো ওই সবজিওয়ালাকে রাস্তা ছেড়ে বসার জন্য আমি বলেছিলাম। এর বেশি আর কিছুই হয়নি। আমি কোনও মারধর করিনি।"
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির প্রতিবাদে 14 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, সিদ্ধার্থ রানাকে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। যদিও সিদ্ধার্থ রানা এসে ক্ষমা চাননি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর জামুরিয়া থানার পুলিশ এসে অবরোধকারীদের আশ্বাস দেয় এবং অবরোধ ওঠে।
এই ঘটনা চরম সমালোচনা করেন বিজেপি-র রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এক বছর আগেও এই সিদ্ধার্থ রানার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেও তাঁকে ব্লক সভাপতি রেখে দেওয়া হয়েছে। এক বছর পরে আবারও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল ৷ তবুও তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না। কারণ এরাই ভোটে গুন্ডামি করে। এরাই তৃণমূলকে ভোটে জেতায়।"