কলকাতা, 16 নভেম্বর: সুশান্ত ঘোষ ৷ রাজনীতির আঙিনায় এই নামটা শুনলেই কঙ্কাল-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সিপিএম নেতার ছবিটা সামনে ভেসে ওঠে ৷ কিন্তু শুক্রবারের সন্ধ্যার পর সেই ছবিটা বদলাতে বাধ্য ৷ কারণ, ওই সময় থেকে সংবাদ শিরোনামে রয়েছেন তৃণমূলের সুশান্ত ঘোষ ৷ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বন্দুক তাক করেও যাঁকে মারতে পারেনি আততায়ী ৷ বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি ৷
তবে এমন ঘটনা তাঁর সঙ্গে যে এই প্রথমবার ঘটল, তা নয় ৷ 31 বছর আগেও একবার বন্দুকের নলের সামনে পড়তে হয়েছিল তাঁকে ৷ যুব কংগ্রেসের তৎকালীন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যে মহাকরণ অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ধর্মতলায়, প্রাণ হারিয়েছিলেন 13 জন, যাঁদের স্মরণে প্রতিবছর 21 জুলাই শহিদ দিবস পালিত হয়, সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়ে বন্দুকের নলের সামনে পড়েও বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছিলেন সুশান্ত ঘোষ ৷
তবে সেবার গুলি খেতে হয়েছিল সেই সময়ের কংগ্রেস, বর্তমানে তৃণমূলের এই নেতাকে ৷ আর সেই কারণেই সম্ভবত বন্দুকের নলের সামনেও তিনি অবিচল ছিলেন শুক্রবার সন্ধ্যায় ৷ আততায়ীকে ধরতে তৎপরতা দেখাতে পেরেছিলেন ৷ তাঁর সেই অবিচল মনোভাবের আঁচ শনিবারও মিলল, যখন তিনি অবলীলায় বললেন, ‘‘গুলি-বন্দুক নিয়ে ভয় পাচ্ছি না ।’’
কলকাতা পুরনিগমের 108 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দক্ষিণ কলকাতায় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ৷ ছাত্র পরিষদ নেতা হিসেবে কসবা-সহ দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি ছিল । 1993 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মহাকরণ অভিযানে শামিল হয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি । সেদিনও মৃত্যু তাঁকে ছুঁয়েও ছুঁতে পারেনি । গুলি লেগেছিল বাম দিকের বুকের উপরের অংশে । ভর্তি করা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে । দেড় মাস ভর্তি ছিলেন অস্ত্রোপচারের পরে । সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কেটেছিল আরও ছয়মাস ।