জলপাইগুড়ি, 17 এপ্রিল: "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যাঁরা পান তাঁদের নিয়ে পদযাত্রা হবে। পদযাত্রায় যে বা যাঁরা আসবেন না তাঁদের যদি পরের মাস থেকে টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য কিন্তু আমি দায়ী থাকব না। এটা সরকারের নির্দেশ। প্রত্যেক ওয়ার্ডে এই মিছিল করতেই হবে"। এই মর্মে তৃণমুল কাউন্সিলের হোয়াইটঅ্যাপের মেসেজ ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। মেসেজের সত্যতা স্বীকার করলেন কাউন্সিলর। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের দাবি, দল এমন কোনও কাজ করার নির্দেশ দেয়নি । কাউন্সিলর ব্যক্তিগত ভাবে এই কাজ করেছেন।
ভাইরাল হওয়া মেসেজটি পাঠিয়েছেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীলম শর্মা। তাতে লেখা "আজ দুপুর 12টায় 1 নম্বর ওয়ার্ডের সকল মহিলা যাঁরা যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান তাঁদের নিয়ে পদযাত্রা হবে। এই পদযাত্রায় যে বা যাঁরা আসবেন না তাঁদের যদি পরের মাসে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যায় তার জন্য কিন্তু আমি দায়ী থাকব না। এটা সরকারের নির্দেশ। প্রত্যেক ওয়ার্ডে এই মিছিল করতেই হবে। তাই সকল মহিলাদের অনুরোধ করা হচ্ছে এই মিছিলে উপস্থিত থাকতে। মিছিল শুরু হবে দুপুর 12টায় ইন্দিরা গান্ধি কলোনীর কালিবাড়ি মোড় থেকে। শেষ হবে হাসপাতাল পাড়ায়। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরলে ভালো হয়। যাঁদের নেই তাঁরা হলুদ শাড়ি পড়ে আসবেন"।
স্বভাবতই এই ভাইরাল মেসেজ ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, "তৃণমূল আতঙ্কিত। মহিলাদের ভয় দেখিয়ে মিছিলে আনতে এমন মেসেজ করছে। মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে মিছিলে এনে কোনও লাভ হবে না। উলটে ভোটটাই পাবে না। তৃণমূলের যা খুশি ওরা করুক কিন্তু যা বোঝার মানুষ সব বুঝে গিয়েছে।"