টাকি, 5 নভেম্বর:পরিষেবা নিয়ে টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ জানিয়ে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর বার্তা তৃণমূল কাউন্সিলর । দলীয় নেতার বিরুদ্ধে টাকি পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীল সরদার এই বিষয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন সোশাল মিডিয়ায় । এতেই শুরু হয়েছে জল্পনা ৷ শাসকদলের কাউন্সিলর পদে থেকেও কী তিনি সরে দাঁড়াবেন ? এই নিয়ে চর্চায় অবশ্য জল ঢেলেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর ৷
পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার বার্তা তৃণমূল কাউন্সিলরের
পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে রাজনীতি থেকে বিদায়ের বার্তা দলের কাউন্সিলরের ৷ সোশাল মিডিয়ায় কী লিখলেন তৃণমূল কাউন্সিলর ?
Published : Nov 5, 2024, 11:00 PM IST
মঙ্গলবার এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"ওয়ার্ডের নাগরিকদের কথা ভেবে আপাতত কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি না ।" তবে, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা যে ঘোষণা করেছেন তাতেই তিনি অটল রয়েছেন । অর্থাৎ, রাজনীতি ছাড়ার পিছনে টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের নাগরিক পরিষেবার ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন দলেরই এই কাউন্সিলর ।
এই নিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছেন সুনীল । সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন,"তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই টাকি-হাসনাবাদে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এখনও তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করছেন । অনেক বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন । কিন্তু, টাকি এবং হাসনাবাদের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয় ।" 2010 সালে দলীয় প্রতীকে টাকি পৌরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডে সামান্য মার্জিনে পরাজিত হওয়ার পরেও তিনি যেভাবে পার্টির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন, সে কথাও ওই পোস্টে তুলে ধরেছেন শাসকদলের কাউন্সিলর । কিন্তু বর্তমান সময়ে দলের একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতে পারছেন না । নাগরিক পরিষেবাও সঠিকভাবে দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ শাসকদলের এই কাউন্সিলরের । আর এর জন্য তিনি সরাসরি দুষেছেন পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ।
এই নিয়ে ইটিভি ভারতের তরফে কাউন্সিলর সুনীল সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,"যে ভাবে পৌরসভা চলছে, তা দেখে আমার অসুস্থ মনে হচ্ছে । চেয়ারম্যান নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ । টাকি পৌরসভা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের ভাবা উচিত ।"
তাঁর আরও অভিযোগ,"পৌরসভার কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেন না চেয়ারম্যান । তার জন্য আমরাও এলাকার মানুষকে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি । পৌরসভার চেয়ারম্যানের ব্যর্থতার দায় এসে পড়ছে আমাদের ঘাড়েও । তাঁর ব্যর্থতার দায় কাউন্সিলররা নিতে যাবে কেন ? এই বিষয়ে তাঁকে বহুবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই দল ছাড়তে বাধ্য হলাম ।"
তবে, দল ছাড়লেও এখনই কাউন্সিলর পদ ছাড়ছেন না সুনীল । তাঁর কথায়,"মানুষ যেহেতু আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তাই আমি কাউন্সিলরের পদ ছাড়ব না ।" এদিকে, বিষয়টি নিয়ে টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি । অন্যদিকে, হাতে গরম ইস্যু পেয়ে এনিয়ে শাসক শিবিরকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির । তাঁদের দাবি,"বহুদিন ধরেই টাকি পৌরসভার উন্নয়ন থমকে রয়েছে । মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না ঠিকভাবে । তৃণমূল কাউন্সিলর সঠিক কথায় বলেছেন ।"