কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের বাজেট ভাষণ সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানাল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাস হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে । পালটা দলীয় বিধায়করা খুন হয়ে যেতে পারেন বলে দাবি করে ওই থানাতেই এফআইআর করেছে বিজেপি।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "পরিষদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে না দেওয়ার জন্য তাঁকে আটকানোর চেষ্টা নিয়ে নিন্দার ভাষা নেই।" একইভাবে বিজেপির তরফ থেকেও এদিন বিধায়করা খুন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
তাঁর অভিযোগ, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা যা আচরণ করেছেন তাতে বিজেপির বিধায়করা খুন হয়ে যেতে পারেন। তিনি বিধানসভা কর্মীর একাংশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে বিজেপি। শুভেন্দুর দাবি, বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক তথা প্রবীণ বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে বিধানসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের একাংশ অপমান করেছেন ৷ তুহিন সরকার, তন্ময় সাহা, অয়ন দাস, সুপ্রীয় সরকার শেখ বাপি-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক ৷ তাছাড়া তাঁর আরও দাবি, বিধানসভায় শাসক দল বেশ কিছু লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়কদের প্রাণের আশঙ্কা থেকেই যায়। এমনই অভিযোগ পালটা অভিযোগ নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত রইল বিধানসভা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রেস কর্নারে না গিয়ে সরাসরি নিজের ঘর থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য যাতে সর্বস্তরের সংবাদমাধ্যমের কাছে পৌঁছতে পারে সেই জন্য আনুষাঙ্গিক সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রেস কর্ণার থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মূল সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করছিল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ শেষ সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যাতে সরাসরি সম্প্রচার না-করা যায় তার জন্য প্রেস কর্নারে যে ব্যবস্থা করা হয় তা বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিজেপি। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।