কলকাতা, 23 মে:ভোটের বাংলায় আরও একটি খুনের ঘটনা ঘটল। এবার রক্ত ঝড়ল শুভেন্দু অধিকারীর খাস তালুক নন্দীগ্রামে। বুথ পাহারা দিতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল বিজেপির এক মহিলা সমর্থককে। পিটিয়ে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে অবশ্য বিজেপির দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে ব্যাখ্যা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন।
শান্তনু সেন (নিজস্ব ভিডিয়ো) নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মনসাতলায় ভোটের দু'দিন আগে খুন হয়েছেন বিজেপির মহিলা নেত্রী ৷ মৃতার নাম রথীবালা আড়ি। মা'কে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন সোনাচূড়ার এসসি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়ি। যা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। ব্য়াপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামেও ৷ আগুন লাগানো হয়েছে একাধিক দোকানে ৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য অফিস থেকে নন্দীগ্রামের এই ঘটনাকে বিজেপির দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে আখ্যা দিলেন দলের অন্যতম মুখপাত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন।
আরও পড়ুন:ফের অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম, দলীয় সমর্থকের মৃত্যুতে বদলার বার্তা শুভেন্দুর
এদিন তিনি সাংবাদিকদের এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, নন্দীগ্রামে ঘটনা আদতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ। তাঁর কথায়, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানি, সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আদি এবং নব্য বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলে। বিজেপির নেতারা হুংকার দিয়ে বলেন, এই হবে সেই হবে। সামনেই 25 তারিখ নন্দীগ্রামের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিজেপির ভরাডুবি হবে বুঝতে পেরে, রাজনৈতিকভাবে চক্রান্ত করে নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসবের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে কিন্তু বাস্তবটা সেখানকার মানুষ জানেন। প্রশাসন এবং পুলিশের তরফ থেকে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত হচ্ছে দল মত নির্বিশেষে যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা শাস্তি পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশাসন পক্ষপাতিত্ব করে না। অপরাধীদের শাস্তি হবেই।"
আরও পড়ুন:ভিডিয়োর পর এবার ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ! তিন রহস্যময়ের কন্ঠস্বরের কথোপকথনে সরগরম সন্দেশখালি