কলকাতা, 3 মে: পড়ন্ত বিকেলে গরম থেকে বাঁচতে স্নান করতে জলাশয়ে নেমেছিল এক কিশোর ৷ আচমকাই সে তলিয়ে যেতে থাকে। বন্ধুকে জলে তলিয়ে যেতে দেখে উদ্ধার করতে ঝাঁপ দেয় আরও দুই কিশোর। সাঁতার না জানায় জলে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল তিন নাবালকের ৷ ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানায় এলাকায়। মৃত তিন নাবালকে নাম মহম্মদ সাহিল (15), মহম্মদ ইমতিয়াজ (14) এবং মহম্মদ হায়দার আলি (15)।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তিন কিশোর প্রতিদিনই খেলাধুলার পর এখানে স্নান করতে আসত। এদিনও তার ব্যাতিক্রম হয়নি ৷ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ তারা ফুটবল খেলার পর ওই পুকুরের সামনে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোট পাঁচজন ছিল সেখানে। তাদের মধ্যেই ছিল এই তিন নাবালকও। প্রথমে মহম্মদ হায়দার আলি পুকুরে স্নান করতে নামে। আচমকাই সে জলে তলিয়ে যেতে থাকে ৷ বন্ধুকে তলিয়ে যেতে দেখে মহম্মদ ইমতিয়াজ এবং মহম্মদ সাহিল তাকে বাঁচানোর জন্য জলাশয়ে ঝাঁপ দেয়। তবে তিনজনের মধ্যে কেউই সাঁতার না জানায় জলে তলিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকেল চারটা নাগাদ তিলজলা থানায় এলাকার বাসিন্দারা ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসে তিলজলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং তিনজন ডুবুরি। আসে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। ঘন্টাখানেক ধরে ওই পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশ চালানোর পর তিন জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে ৷ সেখানে চিকিৎসক তিন নাবালককেই মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ ইতিমধ্যেই নাবালকদের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে ৷ তারপরেই দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে ৷
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সংশ্লিষ্ট পুকুরের আশপাশ কার্যত জনশূন্য থাকে। প্রতিদিন ফুটবল খেলার পর ওই পাঁচ কিশোর স্নান করতে আসে। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা তাদের রাতের দিকে বা সন্ধ্যেবেলা সেখানে স্নান করতে একাধিকবার নাকি নিষেধও করেছিল। কিন্তু কোনও নিষেধের তোয়াক্কাই করত না তিন কিশোর। সেই ভুলের খেসারত তাদের দিতে হল প্রাণ দিয়ে ৷