দুর্গাপুর, 30 জুন:জঙ্গি সন্দেহে চেন্নাই থেকে শেখ আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) ৷ কিন্তু কে এই শেখ আনোয়ার ? জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হল কী করে ? এবার প্রকাশ্যে এল সেই সমস্ত তথ্য ৷
বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম ওরফে শাহদাতের সদস্য সন্দেহে কয়েকদিন আগে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মীরে পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুল্লাকে ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয় নবদ্বীপের জঙ্গি শেখ হারেজকে । তারপরই চেন্নাইয়ে জঙ্গি শেখ আনোয়ারের খোঁজ পায় এসটিএফ ৷
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কুলসোনা এলাকার বাসিন্দা । তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে । তিন বোন আর বাবা-মা আছেন বাড়িতে । চেন্নাইয়ে জামা ইস্ত্রির কাজ করে অর্থ উপার্জন করে বাড়িতে পাঠাত বলে পরিবার আর এলাকাবাসীদের জানিয়েছিল সে । এসটিএফ সূত্রে খবর, 2020 সালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক যুবকের সঙ্গে ধর্মীয় জলসায় আলাপ হয় আনোয়ারের । তারপর 'উম্মান নাসিহার' নামের একটি অনলাইন ব্লগে কাজ করার কথা জানায় সে ।
তারপর সেই ব্লগ থেকে নানান ধর্মীয় উস্কানিমূলক এবং নানা দেশবিরোধী খবর ছড়িয়ে দিত । চেন্নাইয়ে বসে এই কাজই চালাত সে । শুক্রবার দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করা হয় আনোয়ারকে । তারপরে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত তাকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় । এপরপ শেখ আনোয়ারকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এসটিএফ আধিকারিকরা ৷
আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী আনসার-আল-ইসলাম জঙ্গি সংগঠনকে 2017 সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার । তারপর ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা শাহাদাত নামের একটি গ্রুপ তৈরি করে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে । বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ভুয়ো ভিডিও দেখিয়ে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৷ এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লা বলে জানা গিয়েছে এসটিএফ সূত্রে ৷