ধনেখালি, 29 এপ্রিল: হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মুখ পুড়েছে রাজ্যের শাসক দলের ৷ এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ হুগলির ধনেখালিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে শুভেন্দু পুরো ঘটনায় দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ৷
তিনি বলেন, "বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি চাই গোটা মন্ত্রিসভাই জেলে যাক। কারণ, এই সমস্যা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিরিক্ত শূন্য পদের নোটিফিকেশন হয়েছে, এক হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হবে বলে নিয়োগ হয়েছে 2 হাজার জন। এই যে অতিরিক্ত 1 হাজার নোটিফিকেশন তাই তো বাতিল হয়ে গিয়েছে। এর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। 5 মে, 2022 সালে মন্ত্রিসভার মিটিং করে অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করার রেজুলেশন যে ক্যাবিনেটে নেওয়া হয়েছে, এটাই অত্যন্ত বিপদজনক!"
তিনি আরও বলেন, "টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনা হয়েছে ৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং ভাইপো বাহিনী চাকরি বেচার কাজে ছিলেন। বেশকিছু তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী তাঁদের আত্মীয়-স্বজন এখানকার যেমন বিধায়কের ভাইঝি আছে, তাঁরা চাকরিগুলি পেয়েছেন। যোগ্য যাঁরা, তাঁদের চাকরি গিয়েছে ৷ তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, দায়ী কে? বিরোধীরা দায়ী নয়। আইনজীবীরাও দায়ী নয়। প্রত্যেকেই অযোগ্য-অবৈধ নিয়োগের বিরোধিতা করার জন্য লড়েছেন ৷ আপনাদের বিরোধিতা করার জন্য নয়। আপনাদের বিরোধিতা কালকেও কেউ করেনি, আজও কেউ করছে না। আপনাদের প্রতি সহানুভূতি আমাদের আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে । আমাদের পক্ষ থেকে আইনজীবী যাঁরা আছেন, তাঁরা কখনওই বলবেন না যোগ্যদের বাতিল করুন।"
এদিন তিনি জানান, পুরো ওএমআর শিটটাকে নষ্ট করা হয়েছে। এসএসসির অর্ডার দিয়েছে বালাজি সলিউশনকে। বালাজি সলিউশনের মালিকের নাম রঞ্জিত গুপ্ত। ইনি বিল্ডিং বানান ৷ কন্সট্রাকশন কোম্পানি আছে। তাঁকে দিয়েছে ওএমআর নষ্ট করার জন্য। বৈধ এবং অবৈধ সকলের ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। কালীঘাটের কাকু নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা যা প্রমাণ আছে সব মুছে ফেলো। চোরেদের 5 থেকে 6 হাজার চাকরি বাঁচাতে গিয়ে বাকি যোগ্যদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে ৷ তাঁদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন ৷ এর জন্য যদি কেউ দায়ী থেকে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷