হাওড়া, 26 অগস্ট: চলতি মাসের 27 তারিখ নবান্ন অভিযানের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে হাওড়া সদর বিজেপির কার্যালয়ে এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু রবিবার হাওড়া থেকে সরাসরি রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে বলেন, মৃতের দেহ সৎকারের অর্থ সাধারণত পরিবারের সদস্যরাই দেয়, যদিও আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবার দেয়নি। তাহলে কে দিল? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
নির্যাতিতার সৎকারের অর্থ-স্বাক্ষর তাঁর পরিবারের নয়, আরজি কর-কাণ্ডে দাবি শুভেন্দুর - RG Kar Doctor Rape and Murder - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER
RG Kar Rape and Murder Case: আরজি কর-কাণ্ডে মৃতদেহ সৎকারের অর্থ ও স্বাক্ষর নির্যাতিতার পরিবারের নয় বলে দাবি বিরোধী দলনেতার ৷ রাজ্য সরকারকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।
Published : Aug 26, 2024, 6:42 AM IST
|Updated : Aug 26, 2024, 6:50 AM IST
একই সঙ্গে, দেহ সৎকারের নিবন্ধিকরণ প্রক্রিয়াতেও পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাক্ষর নেই বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে কে স্বাক্ষর করেছিল সেদিন? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। এছাড়াও, ঘটনার দিন থেকেই রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ লোপাটের কাজ করে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ঘটনার দিন রাতে তড়িঘড়ি নির্যাতিতার মৃতদেহ সৎকারের সময় যারা উপস্থিত ছিলেন শ্মশানে তারা কেউ ওই এলাকার দায়িত্বে নেই। শুধু তাই নয়, আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক বেনিয়মের তদন্তে রাজ্য সরকার যে চার আইপিএস অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করেছিল তাতে অর্থনীতি সম্বন্ধিত কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তি ছিল না, তাই আদালত সেই সিট বাতিল করে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তাঁর কথায়, "সিবিআইকে আমি স্বাগত জানাই। দেশের সংবিধানে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সংস্থা তদন্তের জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলে, যা দেশের আইনসভায় নির্ধারিত আছে। তাই তারা সেই পদ্ধতি মেনেই এই ঘটনার তদন্ত চালাবে। রাজ্য সরকার যেভাবে এই ঘটনার তথ্য-প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছে তাও তদন্তে প্রকাশিত হবে। এছাড়াও, 27 তারিখ আপামর ছাত্র সমাজ থেকে সাধারণ মানুষ নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।" এই কর্মসূচিতে কোনও দলীয় পতাকা থাকবে না বলেই জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসকের সরকারি ধর্ষণ ও মৃত্যু ঘটানো হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন শুভেন্দু।