কলকাতা, 26 অক্টোবর: অনিকেত মাহাতো ও কিঞ্জল নন্দদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে নয়া সংগঠন গড়লেন আরজি কর-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকেরা ৷ সেই সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন ৷ শনিবার বেলা 3টেয় প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করবে এই সংগঠন ৷ থ্রেট কালচারের মিথ্যে অভিযোগ তুলে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের ৷
9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছিলেন রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা । ন্যয়বিচারের পাশাপাশি তাঁরা সোচ্চার হয়েছিলেন থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধেও । এই থ্রেট কালচারের জেরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 51 জন জুনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল । তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে এই 51 জনের সাসপেনশন ও বহিষ্কার স্থগিত রাখা হয়েছে । এবার তাঁরাই প্রকাশ্যে আসছেন । শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দিয়েছেন 51 জন নির্বাসিত জুনিয়র চিকিৎসক ।
জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশ চক্রবর্তীর বার্তা (ইটিভি ভারত) ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আরজি কর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পড়ুয়া শ্রীশ চক্রবর্তী একটি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে সকলকে তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন । ওই ভিডিয়োতে তিনি বলেছেন, "অভয়া দিদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করছেন ৷ তার সঙ্গে হাসপাতালে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন । এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানালে আমাদের উপর চাপ দিয়ে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয় ৷ থ্রেট কালচারের মিথ্যে অভিযোগ তুলে ধরে ডিউটি থেকে বঞ্চিত করা হয় । এমনকী পঠনপাঠন থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হয় ৷"
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিল বৈঠক হওয়ার পর সাসপেন্ড করা হয়েছিল 51 জন জুনিয়র চিকিৎসককে। এছাড়াও প্রায় 10 জনের কাছাকাছি জুনিয়র চিকিৎসককে বহিষ্কার করা হয়েছিল । অভিযোগ এবং অভিযুক্ত দু'পক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
আরজি কর হাসপাতাল (নিজস্ব ছবি) তবে এই সাসপেনশন অর্ডার প্রকাশের পরই 51 জন জুনিয়র চিকিৎসকের একাংশ দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে । এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকের সময় এই বিষয়ের কথা উঠে আসে । আরজি করের অধ্যক্ষকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনা মুখে পড়তে হয়েছিল । পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টে এই সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ হয়েছে । যে বিষয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তারা আইনিভাবেই লড়বে ।