বংশীহারী, 3 সেপ্টেম্বর: আরজি করের ঘটনার মতো বংশীহারীর ঘটনাকেও দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন ৷ সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরে নির্যাতিতা আদিবাসী নাবালিকার গ্রামে এসে জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "নাবালিকা ও তার মায়ের সঙ্গে গ্রামের লোককে দেখা করতে দিচ্ছে না প্রশাসন ৷ অথচ তৃণমূলের নেতারা, এমনকী অভিযুক্তের পরিবার নাবালিকার সঙ্গে দেখা করছে ৷"
সরকারকে আক্রমণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (ইটিভি ভারত) রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, "আরজি করের নির্যাতিতাকে 10 লক্ষ দিয়ে কিনতে চেয়েছিল সরকার ৷ এখানে নাবালিকার পরিবারকে 5 লক্ষ টাকা দিতে চাইছে ৷ আমি স্পষ্ট জানিয়ে গেলাম নাবালিকার মায়ের সঙ্গে কেউ দেখা করে সম্মান কিনতে চাইলে, আমরা ছেড়ে কথা বলব না ৷"
আরজি করের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য ৷ তারমধ্যেই বংশীহারীতে আদিবাসী নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ৷ সোমবার সেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত ৷ কথা বললেন গ্রামবাসীদের সঙ্গেও ৷ সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারে খোঁজ খবর নেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে, সকল প্রকার সাহায্য়ের আশ্বাস দেন তিনি ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি আশ্বাস দেন, দোষীকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে ৷
এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে অভিযুুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা ৷ তাঁরা জানান, গ্রামে এর আগেও একাধিকবার তাণ্ডব চালিয়েছে অভিযুক্ত ৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও ছাড়া পেয়ে গিয়েছে বারবার ৷ তবে এবার তাঁকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান সুকান্ত ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, নির্যাতিতার পরিবারকে 'আম্বেদকর ফাউন্ডেশন'-এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে ৷
অন্য়দিকে, সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসার কয়েক ঘণ্টা আগে তদন্তের জন্য আসে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের 3 জনের একটি প্রতিনিধি দল ৷ ঘটনার 5 দিন পর এই দল এসেছে বলে জানান গ্রামবাসীরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, সুকান্ত আসছেন শুনে এই আগমন ৷ এদিন নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের বাড়ি যায় দলটি ৷ দু'জনের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিল স্থানীয় পুলিশের একটি দলও ৷