পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পড়া পারিস না এত দেমাক কীসের ? শিক্ষকের অপমান, চরম সিদ্ধান্ত দ্বাদশের পড়ুয়ার - STUDENT DEATH IN JAGADDAL

দিনের পর দিন অপমান ৷ সিনেমা দেখতে গিয়ে ছবি না তোলায় জনসমক্ষে ফের অপমান করেন শিক্ষক ৷ তারপর বাড়ি ফিরেই চরম পদক্ষেপ নেয় রাজা ৷

Jagaddal Student Death
ছেলের ছবি হাতে শোকাহত মা (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 15, 2025, 6:01 PM IST

Updated : Jan 15, 2025, 7:06 PM IST

জগদ্দল, 15 জানুয়ারি: পড়া পারিস না । তোর এত দেমাক কীসের ? প্রকাশ্য রাস্তায় ছাত্রকে ভর্ৎসনা শিক্ষকের । অপমানে বাড়ি ফিরে চরম সিদ্ধান্ত নিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র । মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দলে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম রাজা দে (17)। বুধবার সকালে মৃত ছাত্রের পরিবারের লোকেরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । মৃত ছাত্রের সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজা শ্যামনগর কান্তিচন্দ্র হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত । ওই স্কুলেরই পার্শ্বশিক্ষক তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বাংলা টিউশন পড়তে যেত সে । মঙ্গলবার ওই শিক্ষক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রানাঘাটে সিনেমা দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন । সিনেমা দেখে বেরোনোর পর সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গ্রুপ ছবি তুলতে চেয়েছিলেন স্যার । কিন্তু রাজা ও আরেক ছাত্র ছবি তুলতে রাজি হয়নি । তখন ওই শিক্ষক রাস্তার মাঝেই সবার সামনে পড়াশোনা নিয়ে অপমান করেন । তারপর থেকে বাড়ি ফেরার সময় গোটা রাস্তা চুপচাপ ছিল রাজা ৷ রাতে বাড়ি ফিরে নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় । খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে । দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে ৷

মৃত ছাত্রের মায়ের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)
মৃত ছাত্রের সহপাঠীদের দাবি, মঙ্গলবার তন্ময় স্যার ব্যাচের সবাইকে রানাঘাটে দেবের 'খাদান' সিনেমা দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন । ফেরার সময় সবাইকে নিয়ে তিনি গ্রুপ ছবি তুলতে চেয়েছিলেন । কিন্তু রাজা ও আরেক সহপাঠী ছবি তুলতে রাজি হয়নি । স্যার তখন রাজাকে ভীষণ অপমানজনক কথাবার্তা বলেন । তারপর থেকে রাজা রাস্তায় আর কারও সঙ্গে কথা বলেনি । সম্ভবত স‍্যারের অপমান ও সহ‍্য করতে পারেনি ।

মৃত ছাত্রের মা লতা দে-র কথায়,‌"তন্ময় স্যার আমার ছেলেকে আগেও কয়েকবার অপমান করেছেন । ছেলে বাড়ি ফিরে আমাকে সে সব বলত ।একদিন ওই শিক্ষক বাড়িতে এসেও ছেলেকে অপমান করে গিয়েছেন । আমরা ওই শিক্ষকের শাস্তি চাই ।"

(আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয় -যদি আপনার মধ্যে কখনও আত্মহত্যার চিন্তা মাথাচাড়া দেয় বা আপনার কোনও বন্ধু বা পরিচিত এই সমস্যায় জর্জরিত হন, তাহলে ভেঙে পড়বেন না। জানবেন, এমন কেউ আছে যে আপনার যন্ত্রণা, আপনার হতাশা ভাগ করে নিতে সদা-প্রস্তুত। আপনার পাশে দাঁড়াতে তৎপর। সাহায্য পেতে দিনের যে কোনও সময়ে 044-24640050 এই নম্বরে কল করুন স্নেহা ফাউন্ডেশনে। টাটা ইন্সটিটিউট অফ সোশাল সায়েন্সের হেল্পলাইন নম্বরেও (9152987821) কল করতে পারেন। এখানে ফোন করতে হবে সোমবার থেকে শনিবার সকাল 8টা থেকে রাত 10টার মধ্যে।)

Last Updated : Jan 15, 2025, 7:06 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details