শিলিগুড়ি, 24 ফেব্রুয়ারি: উত্তরবঙ্গে পাচারকারী ও অপরাধীদের বরাবরের নজর শিলিগুড়ি করিডোরে । আর এই চিকেন নেককে সুরক্ষিত রাখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন । যে কারণে এবার রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) শিলিগুড়িতে কার্যালয়ের পর এবার থানা চালুর উদ্যোগ নিলেন পুলিশ আধিকারিকরা ।
সম্প্রতি ওপার বাংলায় অস্থিরতার জেরে রাজ্যের মধ্যে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে সক্রিয়তা বেড়েছে এবিটি জঙ্গি সংগঠন থেকে জালনোট পাচার সিন্ডিকেটের । পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাদক থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারি । আর এসবের মোকাবিলায় ‘চিকেন নেক' শিলিগুড়িতে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা । শিলিগুড়িতে এসটিএফের নতুন থানা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন রাজ্য পুলিশ কর্তারা ।
শিলিগুড়িতে এসটিএফের থানা চালুর উদ্যোগ (নিজস্ব চিত্র) সম্প্রতি এসটিএফের শীর্ষ অফিসাররা উত্তরবঙ্গের এসটিএফের সুপারিনটেন্ডেন্টের অফিস পরিদর্শন করেন । ছিলেন এসটিএফের এডিজি বিনীত গোয়েল, আইজি গৌরব শর্মা, এসপি অপরাজিতা রাই-সহ অন্যান্যরা ।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেদ্বার শিলিগুড়ি । পাশেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও নেপাল । এখান থেকে প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও সিকিমের দূরত্বও বেশি নয় । এমন ভৌগোলিক অবস্থানের জেরেই অপরাধজগতের টার্গেট শিলিগুড়ি করিডর । গাঁজা, কাশির সিরাপ, ব্রাউন সুগার, হেরোইন ও কোকেন পাচারকারীদের পাকড়াও করা হয়েছে । এমন জায়গায় শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে উত্তরে এসটিএফের শক্তি আরও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
কয়েক বছর আগে শিলিগুড়ি শহরের কাছে ফুলবাড়ি 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকানগরে রাজ্য পুলিশের ব্যাটেলিয়নের কাছেই চালু করা হয় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) এসপি অফিস । এসপি ছাড়াও একজন ডিএসপি, তিনজন ইন্সপেক্টর এবং সাতজন সাব ইন্সপেক্টরকে নিয়োগ করা হয়েছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পদটি ফাঁকা রয়েছে ।
এবার সংশ্লিষ্ট অফিসেই থানা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে । শীঘ্রই সেখানে লকআপ তৈরি হবে । থানা চালু হলে অপরাধ দমনের কাজে অনেক গতি পাবে । তা হলে এনজেপি, ভক্তিনগর, শিলিগুড়ি-সহ অন্যান্য থানার উপর নির্ভরতা কমবে । এসটিএফ নিজেরাই বিভিন্ন মামলার এফআইআর রুজু করতে পারবে । এতে মামলার তদন্তে গতি আসবে । শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে বিষয়গুলি জানানো হয়েছে ।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, "এসটিএফকে বর্তমানে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হলে অন্যান্য থানার লকআপের উপর ভরসা করে থাকতে হয় । পাশাপাশি মামলা রুজুর ক্ষেত্রেও থানার উপর ভরসা করতে হয় । এসটিএফের নিজস্ব থানা হলে তদন্তে অনেক সুবিধা হবে । সেজন্য একটি পৃথক থানা তৈরির প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে । সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।"