কলকাতা, 25 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে আচমকা ঢুকে পড়ে গাড়ি ! আর যার জেরে অল্পবিস্তর আহতও হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোট লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীর মাথায়। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমানদ্বীপকে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। সুত্র মারফত যতদূর জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে তীব্র অসন্তোষ জানালেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
এমনটাও খবর মিলেছে, বুধবার যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হঠাৎ করে গাড়ি ঢুকে গিয়েছিল তার পিছনে পুলিশের ক্যাজুয়ালিটি দেখছেন ডিজি। আর তাতেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ তিনি, এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। বুধবারের দুর্ঘটনার পর এদিন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনারদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন রাজীব কুমার। জানা গিয়েছে, সেখানেই এই ঘটনা নিয়ে একরকম ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। নবান্ন সূত্রে খবর, তিনি গতকালের ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, "আপনারা এত ক্যাজুয়াল কেন ! সিরিয়াস হন। গতকালই একটা বড় কিছু ঘটে যেতে পারত। একজন ভিভিআইপি'র যে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে অন্য গাড়ি এভাবে ঢুকতে দেওয়া হল কী করে ?"
তিনি মনে করেন, সবটাই ঘটেছে বিষয়টা ক্যাজুয়ালি নেওয়ার ফলে। এই ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটুক চান না তিনি, এমনটাও জানিয়ে দিয়েছেন। এদিন এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রা পথে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ি ছাড়ার ক্ষেত্রে সাবধান হতেও বলা হয়েছে প্রশাসনকে। প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে রাজীব কুমার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সিকিউরিটি ডিরেক্টর পীযূষ পাণ্ডেও। জানা গিয়েছে, তিনিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের ট্রাফিক বিভাগের আধিকারিকরাও ছিলেন ৷ এদিন এই বৈঠকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের মত ভিভিআইপি আসার আগে নিজেদের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা করে নিতে হবে। ভিভিআইপিদের যাতায়াতের রুট ম্যাপ ঠিক হয়ে গেলে সব সময় অ্যলার্ট থাকতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না তারা।