কোচবিহার, 17 অক্টোবর: 15 বছর আগে বাবাকে মারধর করতে দেখেছিল বছর দশেকের অজয় ৷ গুরুতর জখম হয়ে পরে মৃত্যু হয় বাবার ৷ সেই ঘটনার দেড় দশক পর বারার 'খুনি'কে খুন করল ছেলে। এই কোচবিহারে তৃণমূল কর্মী খুনের কিনারা করে অভিযুক্ত অজয় মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাথাভাঙা) অনিমেষ রায় জানান, তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতিহিংসার কারণেই এই খুন ৷ ধৃত অজয় মাহাতোর বাবাকে 15 বছর আগে শ্যামল ঘোষ মারধর করেছিল। মাসখানেক পর তাঁর মৃত্যু হয়। সেই প্রতিহিংসার জেরেই অজয় মাহাতো শ্যামল ঘোষকে খুন করে।
মাথাভাঙায় তৃণমূল কর্মী খুনের কিনারা (ইটিভি ভারত) গত মঙ্গলবার রাতে মাথাভাঙা শহরের 4 নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন মানসাই নদীর চরে তৃণমূল কর্মী শ্যামল ঘোষের (50) দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত অজয় মাহাতোকে গ্রেফতার করে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর খুনের কারণ সামনে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাভাঙা শহরের 1 নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অজয় মাহাতোর বাবার সঙ্গে 15 বছর আগে 4 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্যামল ঘোষের ঝামেলা হয়। এরপর শ্যামল ঘোষের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন অজয় মাহাতোর বাবাকে মারধর করে। মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মাসখানেক পর তাঁর মৃত্যু হয়। সেই সময় অজয় মাহাতোর বয়স ছিল 10।
বাবাকে খুনের প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অনেক আগে থেকেই ৷ গত কয়েকবছর ধরে শ্যামল ঘোষকে খুনের ছক কষছিল অজয়। খুনের পরিকল্পনা করতে শ্যামল ঘোষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সে। গত মঙ্গলবার রাতে ফোন করে শ্যামল ঘোষকে মানসাই নদীর চরে ডেকে নিয়ে যায় অজয় ৷ সেখানেই খুন করা হয় তৃণমূল কর্মীকে। শুধুই কি পিতৃহত্যার প্রতিশোধ ? না এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে, তা জানতে ধৃতকে আদালতে পেশ করে 10 দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।