পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 24, 2024, 6:55 PM IST

ETV Bharat / state

মাটি ফুঁড়ে গলগল করে বেরোচ্ছে ধোঁয়া ! চাঞ্চল্য আসানসোলে - LANDSLIDE IN COAL MINE AREA

Landslide in Asansol: রাত থেকেই জামুড়িয়ার কেন্দা ধাওড়া পাড়ায় জনবসতি এলাকার খুব কাছেই মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

Landslide in Asansol
মাটি ফুঁড়ে বেরোচ্ছে ধোঁয়া (নিজস্ব চিত্র)

আসানসোল, 24 অগস্ট: ফের জমিতে ধস ৷ এরপরই সেই গর্ত থেকে গলগল করে উঠতে থাকে ধোঁয়া ৷ যার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল জামুড়িয়ায়। শুক্রবার রাত থেকেই জামুড়িয়ার কেন্দা ধাওড়া পাড়ায় জনবসতি এলাকার খুব কাছেই মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে বলে খবর। শনিবার বেলা বাড়তেই সেই ধোঁয়া আরও বড় আকার ধারণ করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। মাটির তলায় কয়লাস্তরে আগুন লাগার কারণে এই ধোঁয়া লেগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। স্বভাবতই এলাকায় আবারও ধসের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাসিন্দারা পূনর্বাসন চেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

মাটি ফুঁড়ে বেরোচ্ছে ধোঁয়া (ইটিভি ভারত)

আসানসোল রানিগঞ্জ এলাকার প্রায় 140টি মৌজার মানুষ সবসময় ধস, ধোঁয়া, আগুনের আতঙ্কে থাকেন। ধস কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পরও এখনও কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপোড়নে ধস কবলিতরা পুনর্বাসন পাননি বলেও অভিযোগ। ফলে আতঙ্ক নিয়েই তাঁরা বসবাস করছেন এলাকায়। সেভাবেই জামুড়িয়ার কেন্দার ধাওড়া পাড়া এলাকাটি বহুকাল ধরে ধস কবলিত বলে চিহ্নিত বলে দাবি এলাকাবাসীদের। এর আগে বহুবার ওই এলাকায় ধস নেমেছে ৷ ধোঁয়াও বেরোতে দেখা গিয়েছে। ফের এক-দু'দিনের টানা বৃষ্টিতে নতুন করে মাটি ফুঁড়ে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে জামুরিয়ার কেন্দা ধাওরাপাড়াতে। গলগল করে ধোঁয়া বেরোচ্ছে মাটি ফুঁড়ে।

খনি বিশেষজ্ঞদের মতে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই মাটির তলায় কয়লা জ্বলছে। বৃষ্টির কারণে বৃষ্টির জল মাটির ভেতরে প্রবেশ করে কয়লার উপরের নিভে গিয়ে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আতঙ্কের কারণ এটাই কয়লাস্তর পুরোপুরি পুড়ে যদি ছাই হয়ে যায় তাহলে সেই এলাকা জুড়ে বড়সড় ধরনের ধস নামতে পারে। আর সেই আতঙ্কের জেরে বাসিন্দারা পূনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের মতে, তাঁরা নিজেদের এলাকাকে দীর্ঘদিন ধরেই ধস কবলিত বলে জানতে পেরেছেন। কিন্তু পুনর্বাসন পাননি।

এর আগে ধোঁয়া কিংবা ধসের ঘটনা ঘটলে তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে একটি স্কুল বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে আবার সেই এক সমস্যা দেখা দেয়। তবুও স্থায়ী সমাধান পাননি বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের মতে নেতারা আসেন, ইসিএলের কর্তারা আসেন। তাঁরা পরিস্থিতি দেখেও ফিরেও যান। কিন্তু কেউ কিছুই করে না। বিষয়টি নিয়ে ইসিএলের কোনও আধিকারিক অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

ABOUT THE AUTHOR

...view details