পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

তাপসী-খুনের মূল অভিযুক্ত সুহৃদের নামে জেলা সম্মেলনে মঞ্চ, সিপিএমকে বিঁধলেন মনোরঞ্জন - TAPASI MALIK MURDER

তাপসীর বাবা মনোরঞ্জন মালিক বলেন, "সুহৃদ দত্তের নামের মঞ্চ করছে। সিপিএমকে আমি ধিক্কার জানাই।" পাল্টা সিপিএমের দাবি, সুহৃদ তাদের কাছে শ্রদ্ধেয় নেতা।

TAPASI MALIK MURDER
সুহৃদ দত্তই সিপিএমের জেলা সম্মেলনের প্রধান মুখ (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

সিঙ্গুর, 18 ডিসেম্বর: তাপসী মালিক খুনের মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুহৃদ দত্তর নামে জেলা সম্মেলন মঞ্চ করছে সিপিএম। এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছেন, তাপসীর বাবা মনোরঞ্জন মালিক। কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। 18 ডিসেম্বর বুধবার তাপসী মালিকের মৃত্যু দিবসে পালন করে তৃণমূল। অন্যদিকে, হুগলিতে কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সম্মেলনে অভিযুক্ত সুহৃদ দত্ত নামে হল মঞ্চ! যদিও ওই নৃশংস খুনের মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। বিচারের আশায় আজও বসে আছেন তাপসীর বাবা-মা।

2006 সালে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে সিপিএমের দাপুটে নেতা ছিলেন সুহৃদ। একদিকে ছিল সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটি ও অন্যদিকে ন্যানো বাঁচাও কমিটি। আন্দোলনের জেরে আগুন জ্বলছিল সিঙ্গুরে। সে সময় তাপসী মালিককে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের নেতা সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিকের বিরুদ্ধে।

সুহৃদ দত্তই সিপিএমের জেলা সম্মেলনের প্রধান মুখ (ইটিভি ভারত)

চন্দননগর মহকুমা আদালতে মামলাটি প্রথমে ওঠে। পরে সেই মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। কিন্ত এখনও পর্যন্ত খুনের মামলার দোষীদের কোনও শাস্তি হয়নি। ইতিমধ্যেই তাপসী খুনের দুই অভিযুক্তের মধ্যে সুহৃদ দত্তের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিঙ্গুরের দৌলুই গাছায় 21 থেকে 23 ডিসেম্বর পর্যন্ত হুগলি জেলায় সম্মেলন করছে সিপিএম। তাতেই সুহৃদ দত্তের ছবি দিয়ে বড় গেট ও দেওয়াল লিখন করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মনোরঞ্জন বলেন, "সিপিএম আমার মেয়েকে খুন করেছে। প্রতি বছর তার স্মরণসভা হয়। অন্যান্য নেতারা কেউ না এলেও বেচারাম মান্না আসেন। তাপসী মামলার কী হয়েছে বলতে পারব না। দোষীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুহৃদ দত্তের মৃত্যু হয়েছে। সিপিএম সুহৃদ দত্তের নামের মঞ্চ করছে। সিপিএমকে আমি ধিক্কার জানাই। আমার মেয়ের সুবিচার পেলাম না ৷ এটাই আমার কাছে আফসোস।"

সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "18 বছর আগে তাপসী মালিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র করে সুহৃদ দত্ত ও দেবু মালিককে ফাঁসানো হয়েছিল। পরবর্তীকালে জামিনে তাঁরা মুক্ত হয়েছিলেন। এই মামলার বিচার শেষ করার দায়িত্ব ছিল কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। যদি এই মামলা শেষ হত তাহলে প্রমাণ হয়ে যেত ষড়যন্ত্র করে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছিল। জেল, খুন, মিথ্যা একাধিক মামলা দিয়ে ফাঁসানো বাংলার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেভাবেই সুহৃদ দত্তকে ফাঁসানো হয়েছিল। তিনি আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয় নেতা।"

সিপিএমের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ বলেন, "ওদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সিপিএম সবসময় সত্যকে মিথ্যা বলে প্রমান করতে চায়। ওরা হার্মাদদের দলের সম্পদ মনে করে। ওদের কাছে নন্দীগ্ৰাম, নেতাই-এর ঘটনায় গ্ৰেফতার হওয়া শুকুর আলি, তপন ঘোষকে বলে দলের সম্পদ। এটাই ওদের সংস্কৃতি।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details