জলপাইগুড়ি, 31 মার্চ: কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ি ৷ আর তার জেরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে 4 জনের ৷ মৃতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং 1 জন মহিলা রয়েছেন ৷ অন্যদিকে, আহতের সংখ্যায় বেড়ে শতাধিক হয়েছে ৷ 65 জনকে আপাতত জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করানো হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়েই জলপাইগুড়ির আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারেন তিনি। সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ঘটনাস্থলে যেতে পারেন। তার আগে ঝড় মোকাবিলায় রাজভবনে একটি জরুরি সেলও গঠন করেছেন রাজ্যপাল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, যাঁদের মাথায় বা অন্যান্য অঙ্গে গুরুতর চোট লেগেছে, তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান চিকিৎসক প্রদীপ কুমার বর্মা ৷ রবিবার দুপুরের পরে আচমকা শুরু হওয়া এই ঝড়ের জেরে হাহাকার পড়ে যায় চারদিকে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি ৷ এই ঝড়ে বেশ কয়েক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে ৷ পরবর্তী কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ৷
রবিবার দুপুর গড়াতেই হঠাৎই ঝড়ের তাণ্ডব জলপাইগুড়ি জেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে, সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ৷ যে ঘটনায় গাছ ভেঙে, তাতে চাপে পড়ে মৃত্যু হয়েছে 4 জনের ৷ একজনের নাম দ্বীজেন্দ্র নারায়ণ সরকার, বয়স 52 বছর ৷ তাঁর বাড়ি জসলপাইগুড়ি শহরের সেন পাড়ার কালীতলা রোডে ৷ জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের পিছনে সুকান্তনগরে তাঁর উপর গাছ চাপা পড়ে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল বাহিনী ৷ গাছের ডাল কেটে তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি গোশালামোড় এলাকার বাসিন্দা অনিমা রায় (49) কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন ৷ মৃতদের মধ্যে বাকিরা হলেন যোগেন রায় (70) এবং সমর রায় (64) ৷ হাসপাতালে এদের সকলকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল ৷ অন্যদিকে, এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে ৷