জলপাইগুড়ি, 27 সেপ্টেম্বর: গোয়ালে গরু রাখতে গিয়ে বিপত্তি ৷ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশু-সহ 4 জনের ৷ অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে গিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল দাস পরিবারের ৷ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ভোরের আলো থানা এলাকার অন্তর্গত 1 নম্বর টাকিমারির মিলন পল্লীতে ৷ খবর চাউর হতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷
হুকিংয়ের সময় বিপত্তি! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক শিশু-সহ 4 জনের - Death by Electrocution - DEATH BY ELECTROCUTION
Electrick Shock: মৃ্ত্যু এভাবে অপেক্ষা করছে, তা কে জানত! হুকিং করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল একই পরিবারের 4 জনের ৷ তাদের মধ্যে একজন শিশু ও মহিলাও রয়েছে ৷
Published : Sep 27, 2024, 10:27 PM IST
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, টাকিমারির বাসিন্দা পরেশ দাসের ছেলে আজ সন্ধ্যায় গোয়ালঘরে গরু রাখতে যান। পরেশ দাস সেই সময় হুকিং করছিলেন ৷ তখনই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে ছেলে মিঠুন দাসের উপর ৷ এদিকে সন্ধে থেকে চলছিল বৃষ্টিও ৷ মুহূর্তের মধ্যে চোখের সামনে ছেলের এই পরিণতি দেখে বাঁচাতে আসেন বাবা ৷ পরেশ দাসেরও ততক্ষণাৎ মৃত্যু হয় ৷
গরুটিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ৷ স্বামী ও ছেলের চিৎকারে বাড়ি থেকে ছুটে আসেন পরেশ দাসের স্ত্রী দিপালী দাস ৷ তাঁর পিছনে নাতি ৷ একসঙ্গে প্রাণ যায় চারজনের ৷ স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম দাস জানান, ইলেকট্রিক তারে শক লেগে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওরা ৷ নিমেষে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ৷ নাতির বয়স আড়াই বছর। পরেশ দাসের বয়স 62। বড় ছেলে মিঠুনের বয়স 32 আর দিপালীর বয়স 55 বছর। ভোরের আলো থানার ওসি সন্দীপ দত্ত বলেন, "ইলেকট্রিক শকে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাঠানো হয়। হুকিং করতে গিয়ে বিপত্তি ৷ আগামিকাল মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হবে।"