2 দিন ধরে ধর্মঘট সংগ্রামী যৌথমঞ্চের কলকাতা, 3 মার্চ: বকেয়া ডিএ থেকে শূন্যপদে লোক নিয়োগের মতো একাধিক দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পথে সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। অনশন, অবস্থানের পর এবার দু'দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক সরকারি কর্মীদের। ধর্মঘটের সমর্থনে আজ, রবিবার সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করলেন সরকারি কর্মীরা। মিছিল শেষে রানি রাসমণি রোডে সভা হয়।
বকেয়া ডিএ একাধিক দাবিকে সামনে রেখে জোরদার লড়াই করেছিল সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। এবার তারা দু'দিনব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। চলতি মাসের 6, 7 মার্চ ধর্মঘট করবেন তারা। এই কর্মসূচি সফল করতে গতকাল, শনিবার সংগ্রামী যৌথমঞ্চ সিপিএমের রাজ্য দফতরে গিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সঙ্গে দেখা করে কথা বলে আসেন। তাদের দাবি, একটি প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে ৷
আজ সেই দাবিতে মিছিলে পা মেলাল পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। মিছিলে পা মেলালেন সৌম্য আইচ রায়, আশুতোষ চট্টোরাধ্যায়রাও ৷ এদিন সুবোধ মল্লিক মল্লিক স্কোয়্যার থেকে মিছিল বের হয়। সেই মিছিলেই সরকারি কর্মীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় তাঁদের। বকেয়া ডিএ মেটানো, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে সরকারি স্থায়ী 3 লক্ষ শূন্যপদ নিয়োগ, প্রতিহিংসামূলক বদলি এই দাবিগুলো সামনে রাখেন।
6, 7 মার্চ ধর্মঘট করবেন তারা স্লোগানমুখর মিছিলে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানানো হয়। এদিন সৌম্য আইচ রায় বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আন্দোলন করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এখন আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন। যখন বিরোধী ছিলেন তখন তিনি তো এই সব দাবিকে ন্যায্য বলেছেন। এত কিছু করছে আর কর্মীদের ডিএ দিতে পারছেন না। ভাস্কর ঘোষ বলেন, "রাজ্যের তরফে বিন্দুমাত্র সদিচ্ছা নেই সমস্যা মেটানোর। আলোচনায় বসেননি। ধর্মঘট ডেকেছে দুই দিনের। লোকসভার আগে আমরা নির্বাচন কমিশনে সঙ্গে দেখা করব। যাতে ভোট চুরি করতে না পারে। ভোটের আগে বা পরে এই সরকার বুঝে যাবে কর্মীদের স্বার্থ না-রক্ষা করলে কর্মীদের বঞ্চিত করলে তারা কী করতে পারেন!"
আরও পড়ুন:
- চাই বকেয়া 32% ডিএ, রাজ্যজুড়ে 'প্রতীকী' অনশন সরকারি কর্মচারীদের
- ডিএ মঞ্চের প্যান্ডেল খোলার পর রাতেই আন্দোলনকারীদের উঠে যেতে চাপ পুলিশের
- 'বেশি বাড়াবাড়ি করলে নবান্নের সামনে অনশনে বসব', হুঁশিয়ারি ডিএ আন্দোলনকারীদের