কলকাতা, নয়াদিল্লি, 10 মে: একইদিনে তৃণমূল এবং জাতীয় মহিলা কমিশন সন্দেশখালি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে ৷ একদিকে তৃণমূল সরাসরি অভিযোগ করেছেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সন্দেশখালিতে নিজের পদের অপব্যবহারের পাশাপাশি তিনি গোটা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ৷ অন্যদিকে, মহিলা কমিশন কার্যত জোর দিয়েই জানিয়েছে, নির্যাতিত মহিলাদের জোর করে তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করছে ৷
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার কথাও বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ৷ শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেছেন, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সন্দেশখালির অভিযোগের বিষয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজ করেছেন ৷ তিনি আরও বলেন, "ওই এলাকার মহিলাদেরকে যৌন নিপীড়নের মিথ্যা অভিযোগ করতেও তিনি উৎসাহিত করেছেন।" এর পালটা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, লোকসভা ভোটের সময়ে সন্দেশখালি এলাকার মহিলাদের তৃণমূলের কর্মীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করছে ৷ একই সঙ্গে, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তদন্তের আর্জিও জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা, ফেব্রুয়ারি মাসে সন্দেশখালি পরিদর্শন করার পর, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সুপারিশ করেছিলেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার ও হিংসার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক ৷ বৃহস্পতিবার তৃণমূল সন্দেশখালি মহিলাদের একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করেছে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সেই মহিলাদের ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করেয়েছিলেন ৷ সেখানেই পরে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ভিডিয়োগুলিতে মহিলারা দাবি করেছেন, তাদের স্থানীয় বিজেপি কর্মী পিয়ালী দাস স্থানীয় থানায় ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে এবং সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের টিমের সামনে তাদের অভিযোগ করতে বলেছিলেন। মহিলারা পরে অভিযোগ করেন যে, তারা কখনওই যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দায়ের করার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি ৷