মেদিনীপুর, 16 জানুয়ারি: একসঙ্গে পাঁচ প্রসূতির অসুস্থ হওয়া, তারপর একজনের মৃত্যু ৷ বৃহস্পতিবার সকালে এক সদ্যোজাতর প্রাণ গিয়েছে ৷ তবুও ব্যাচ নম্বর বিহীন রাজ্য সরকারের নিষিদ্ধ এলআর (LR) স্যালাইন ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে বিক্রি চলছে। মাতৃমাতে ভর্তি অসুস্থ প্রসূতিকে সেই স্যালাইন কিনে দিতে গিয়ে বিপত্তি !
ঘটনাক্রমে জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের সাহসপুরের তপন দোলইয়ের স্ত্রী সুদীপাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমাতে। তাঁকে নিয়ে আসেন তাঁর দাদা ৷ এরপরই তাঁকে স্যালাইন কিনে আনতে পাঠানো হয় মাতৃমা থেকে। দাদা বিভাস দোলই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকান থেকে 6টি স্যালাইন কেনেন ৷
ন্যায্যমূলের ওষুধের দোকানে এবার ছত্রাক ভর্তি স্যালাইন (ইটিভি ভারত) তড়িঘড়ি স্যালাইন তিনি নিয়ে আসেন মাতৃমাতে ৷ কিন্তু স্যালাইন দেওয়ার আগেই দেখা যায় এই রিঙ্গার ল্যাক্টেট LR স্যালাইনের ভিতরে ছত্রাক ভর্তি।হাসপাতালের আয়া প্রথম সেটি দেখতে পান ৷
ন্যায্যমূলের ওষুধের দোকানে বিক্রি ছত্রাকভর্তি স্যালাইন (নিজস্ব ছবি) শুধু তাই নয়, LR স্যালাইনের ব্যাচ নম্বরও ছিল না। ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তড়িঘড়ি সেই স্যালাইন তিনি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন ৷ সেই সঙ্গে ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে ওই স্যালাইন ফেরত দিতে যান। তখনই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৷
মেদিনীপুর মেডিক্যালে তোলপাড় (নিজস্ব ছবি) - সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মেদিনীপুর ন্যায্যমূল্যের ওষুধের 'কোলে' সংস্থার দোকানের দায়িত্বে থাকা স্বরুপ কুমার সি বলেন, "আমাদের কাছ থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি সরকারের থেকে ৷ তবে আমরা এই এলআর স্যালাইন বিক্রি বন্ধ রেখেছিলাম ৷ আজ কয়েকটা মাত্র বিক্রি করেছি। খেয়াল করে দেখিনি।"
- মেদিনীপুরের মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী বলেন, "এরকম ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানি না ৷ এখনও কোনও অভিযোগপত্র জমা পড়েনি।"
- যদিও এবিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, "আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ পড়েনি ৷ তবে আমাদের রাজ্য সরকার এবং মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে ছত্রাক ভর্তি এলআর স্যালাইন নিষিদ্ধ বিক্রি করার জন্য ৷"