মেদিনীপুর, 21 ফেব্রুয়ারি: কয়েক দিন ধরে প্রস্রাব হচ্ছিল না রোগীর ৷ পুরুষাঙ্গে সেফটিপিন দিয়ে খোঁচাতে গিয়ে মূত্রথলিতে তা আটকে যায় ৷ অবশেষে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সার্জারি বিভাগের ডাক্তার সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের হল সেই সেফটিপিন।স্বস্তি পেলেন রোগী। ডাক্তারবাবু বললেন, 'বিরল অপারেশন যে তা বলা যাবে না, তবে এই ঘটনা দেখা যায় না ৷'
ঘটনাক্রমে জানা যায়, মেদিনীপুর জেলার গুড়গুড়ি পাল থানার মণিদহ এলাকায় বছর 54-র ব্যক্তি কিছুদিন ধরেই পুরুষাঙ্গে ব্যথা অনুভব করছিলেন। এই ঘটনায় স্থানীয় দেপাড়া হাসপাতালে ডাক্তারকে দেখানোর পর তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। ইমারজেন্সিতে রোগীকে দেখানোর পর তাঁকে কিছু পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় ৷
অস্ত্রোপচারে বাঁচলেন রোগী (ইটিভি ভারত) এরপর এক্স-রে করতে বলেন। সেই এক্স-রে করে দেখতে গিয়েই চিকিৎসকের চক্ষু চড়কগাছে! তাঁরা এক্স-রে'তে দেখেন একটি পুরো সেফটিপিন আটকে আছে ওই পুরুষাঙ্গের মধ্যস্থলের মূত্রথলিতে। এরপর তাঁরা চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে গত বুধবার অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে সেফটিফিনটি বার করে দেন। এখন তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আছে এবং সুস্থ রয়েছেন। যদিও কী কারণে এই ঘটনা বা এই সেফটিপিন কীভাবে পুরুষাঙ্গের ভিতরে গেল, তা নিয়ে পুরোপুরি ধোঁয়াশা।
পুরুষাঙ্গ দিয়ে সেফটিফিন ঢুকল মূত্রথলিতে (ইটিভি ভারত) রোগীর মতে, প্রস্রাব হচ্ছিল না ৷ আর তাতে মনে হয়েছিল সেফটিফিন দিয়ে খুঁচিয়ে দিলে প্রস্রাব হবে ৷ তা করতে গিয়েই পুরুষাঙ্গ দিয়ে মূত্রথলির ভিতরে সেফটিপিন ঢুকে আটকে যায় ৷ যদিও এ বিষয়ে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "গত সপ্তাহে উনি আসেন আমাদের কাছে। ইমারজেন্সিতে দেখান। এরপর তাঁকে আমরা কিছু পরীক্ষা করতে বলি। এক্স-রে করতে গিয়ে ধরা পড়ে সেফটিপিনটি পুরুষাঙ্গের মুখের কাছে নেই, চলে গিয়েছে মূত্রথলিতে। এরপর আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই ৷ গত বুধবার অপারেশন হয়েছে। সেই অপারেশন সাকসেসফুল। উনি সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে ওনাকে ছুটি দেওয়া হবে ৷"