কলকাতা, 19 জুন: রেশন দুর্নীতি মামল সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর ইডি দফতর থেকে বেরলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ৷ মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমার কাছ থেকে কিছু নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল ৷ আমি সেসব দিয়ে দিয়েছি ৷"
ইডি জেরার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (ইটিভি ভারত) রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট তলব করেছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ৷ এর আগে 5 জুন ইডি সমন পাঠিয়ে তাঁকে তলব করেছিল ৷ তবে সেবার তিনি বিদেশে ছিলেন বলে হাজিরা দিতে পারেননি ৷ রেশন দুর্নীতি তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন বিভিন্ন প্রভাবশালী এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ব্যাঙ্কের ট্রানজাকশন হয়েছিল ৷
এদিন ইডির জেরা শেষ হওয়ার পর অভিনেত্রী বলেন, "ইডি তাদের তদন্তে সহযোগিতার জন্য কিছু নথিপত্র জমা দিতে বলেছিল ৷ আমি সেসব দিয়েছি ৷ তাঁরা আমার সহযোগিতায় খুশি ৷ এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই ৷ ওনারাও (আধিকারিকরা) সহযোগিতা করেছেন ৷ আমিও সহযোগিতা করেছি ৷" ঋতুপর্ণা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেন বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ৷ তিনি বলেন, "এর থেকে বেশি কিছু আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় ৷"
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, অভিনেত্রীকে যে সমন পাঠানো হয়েছিল, তার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই ৷ তিনি বলেন, "ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অ্যাকাউন্টে এসেছে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় নিয়ে ডাকা হয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ৷"
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা প্রথমে উত্তর 24 পরগনার ব্যবসায়ী বলে পরিচিত বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে ৷ পরে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও গ্রেফতার করা হয় ৷ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা ৷