কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর: সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি ‘আংশিক জয়’ ৷ এবার নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা । সারারাত ধরে চলল তাঁদের আন্দোলন ৷ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের দায়ে পদত্যাগ করতে হবে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ৷
জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে রইল সেলেব মহলও (ইটিভি ভারত) জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি পূরণ হবে, তাঁরা রাস্তায় থাকবেন । সোমবার রাতে চিকিৎসকদের রাজপথ দখলে যোগদান করলেন সেলেবরাও । দেবলীন দত্ত, সোহিনী সরকার, সুদীপ্তা চক্রবর্তীদের গলাতেও একই সুর, ‘‘জাস্টিস ফর আরজি কর’’। জুনিয়র চিকিৎসকদের উৎসাহ দিতে রাতে লালবাজারে এলেন ডিউটি-ফেরত সিনিয়র চিকিৎসকরাও ৷
অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত বলেন, ‘‘আজকে পুলিশের এত ব্যারিকেড । 14 তারিখ রাতে ব্যারিকেড কোথায় ছিল ? ক্রাইম সিনে ব্যারিকে[ কোথায় ছিল ? জুনিয়র চিকিৎসকরা এতদিন যা করেছেন সব শান্তিপূর্ণভাবে । কলকাতা পুলিশের কীসের এত ঔদ্ধত্য ?’’ চৈতি ঘোষালের কথায়, ‘‘কলকাতা পুলিশ ভয় পেয়েছে ৷ সেকারণেই পিছনের গেট দিয়ে পুলিশ কমিশনারকে বেরোতে হয়েছে । এতদিন পর্যন্ত উনি (সন্দীপ ঘোষ) সিবিআই দফতরে যাচ্ছিলেন আর আসছিলেন ৷ গ্রেফতার হচ্ছিলেন না । এবার উনি গ্রেফতার হয়েছেন । আমি আজকে একজন মা হিসেবে এসেছি । এতজন মা একসঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন ৷ সত্যি তো সামনে আসবেই ।’’ একই সুর শোনা গিয়েছে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর গলাতেও ।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর দু’টো থেকে লালবাজারের উদ্দেশ্যে কলেজ স্কোয়ার থেকে রওনা দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । তাঁদের মিছিল যখন ফিয়ার্স লেনে পৌঁছয় , বাধা দেয় পুলিশ ৷ বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন চিকিৎসকরা । একাধিকবার পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক কথা বলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে । তাঁদের বলা হয়, 20 জনের সদস্য লালবাজারে গিয়ে কথা বলতে পারবেন । কিন্তু তাতে রাজি হননি আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ।
পালটা তাঁরা জানিয়ে দেন, লালবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন । তারপর তাঁদের প্রতিনিধি দল ভিতরে গিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবে । যদি তা না-হয়, তাহলে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ব্যারিকেডের সামনে আসতে হবে । সেখান থেকেই তাঁরা কথা বলবেন নগরপালের সঙ্গে । কিন্তু তা না-মেনে নেওয়ার কারণে রাতভর চলে জুনিয়র চিকিৎসকদের এই অবস্থান আন্দোলন ৷