কাকদ্বীপ, 22 সেপ্টেম্বর: বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের নিখোঁজ 9 মৎস্যজীবীর মধ্যে 8 জনের দেহ উদ্ধার হল ৷ উদ্ধারকারী দল ট্রলারের কেবিনে তল্লাশি চালিয়ে এই 8 জনের দেহ উদ্ধার করেছে ৷ তবে, এখনও এক মৎস্যজীবীর খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ এমনটাই জানিয়েছেন, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ৷
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মধ্যরাতে কাকদ্বীপের 17 জন মৎস্যজীবী 'বাবা গোবিন্দ' ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান ৷ রাতে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি উলটে যায় ৷ সেই দুর্ঘটনায় 8 জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হলেও, বাকি 9 জন নিখোঁজ হয়ে যান ৷ শনিবার থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি অভিযানে রবিবার সকালে ট্রলারটি উদ্ধার হয় ৷ এরপর একাধিক ট্রলারের সাহায্যে সেটিকে নামখানার লুথিয়ান দ্বীপে আনা হয় ৷ সেখানেই ট্রলারের কেবিনে তল্লাশি চালিয়ে 8 জন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷
ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত 8 মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার ৷ (ইটিভি ভারত) কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নামখানার বিডিও ও মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্তারা নামখানার হরিপুর ঘাটে উপস্থিত হন এদিন ৷ তাঁরা দেহগুলি মৎস্যজীবীদের গ্রামে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন ৷ তবে, আরও এক নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে ৷ সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, দুর্ঘটনার দিন যে 8 জন মৎস্যজীবীদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে 6 জন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ৷ তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷
তবে, বাকি দু’জন মৎস্যজীবীকে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে ৷ আর মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে সরকারের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী ৷ পাশাপাশি, তাঁদের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ সরকারি সাহায্যও দ্রুত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷