জলপাইগুড়ি, 31 জুলাই:ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির বার্নিশে অর্থকরি গাছ প্রদান করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করল রামকৃষ্ণ আশ্রম। কয়েক বছরে সবুজ হয়ে যাবে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করেই অর্থকরি গাছ প্রদান করা হল। 4 হাজার 48টি গাছ প্রদান করা হল। আজ বার্নিস এলাকায় প্রতিটি পরিবারকে 2 হাজার টাকার গাছ প্রদান করা হয় । 2 হাজার 520টি গাছ দেওয়া হল। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ আশ্রমের পক্ষ থেকে আজ 252টি নারকেল গাছ, 1260টি সুপারি, 504 তেজপাতা, 252 পেয়ারা, 252 লেবু গাছ প্রদান করা হয়। প্রথমার্ধে 191টি পরিবারকে গাছ দেওয়া হয়।
ময়নাগুড়ির বার্নিশে 4 হাজার গাছ বিলি, বৃক্ষরোপণ রামকৃষ্ণ মিশনের (ইটিভি ভারত) প্রথমে 955টি নারকেল গাছ, 1260টি সুপারি গাছ, 382টি তেজপাতা গাছ দেওয়া হয়। আজ ফের 2520টি গাছ প্রদান করা হয়৷ বার্নিস, পুটিমারি, শিশুয়াবাড়ি, কায়েতপাড়া, সর্দার পাড়া, ঘাটপাড়া, সেনপাড়া, টুমবাড়ি এলাকায় বৃক্ষরোপণ করা হয়। গত 16 জুলাই ওই এলাকায় 1528টি গাছ প্রদান করা হয়েছিল । আজ ফের 2 হাজার 520টি গাছ প্রদান করা হল।
গত 31 মার্চ ময়নাগুড়ির বার্নিসে ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মোট 550টি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছিল রামকৃষ্ণ আশ্রম থেকে । বর্ষাকালে গাছ প্রদান করা হয় বার্নিসে । এবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ নিল জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম । এদিন ময়নাগুড়ি ব্লকের বার্নিস এলাকার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে গাছের চারা বন্টন করা হয়।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, "টর্নেডো পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বন্টন করা হয়েছিল। সেই তালিকা ধরে আমরা এলাকায় প্রতিটি পরিবারের মধ্যে গাছের চারা বন্টন করলাম। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ করা হল ৷ পরিবার পিছু একটি উন্নত জাতের নারকেল গাছ, সুপারি গাছের 5টি চারা এবং দুটি করে তেজপাতা গাছের চারা দেওয়া হল 200টি পরিবারকে । কয়েক বছরের মধ্যেই এলাকায় চিত্র পালটে যাবে । আগামীতে এই গাছগুলির সাহায্যে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে, একই ভাবে আর্থিক সুবিধা পাবেন বাসিন্দারা ।