কলকাতা, 10 মে: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে গরমের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাজ্যবাসী ৷ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় পারদ এখন নিম্নমুখী ৷ কিন্তু বৃষ্টিপাতের স্বস্তির মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বজ্রপাত ৷ ঘনঘন বজ্রপাতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ৷ সেই নিয়ে একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ বজ্রপাত শুরু হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই বার্তায় ৷
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে শুক্রবারও ৷ আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "গতকালের পরে আজকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি পরিস্থিতির সম্ভাবনা বেশি থাকছে । বিশেষ করে বজ্রপাতের তীব্রতা কয়েকটি জায়গায় বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে । রয়েছে দমকা হাওয়ার সম্ভাবনাও । তার গতিবেগ ঘণ্টায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার । আবার কোথাও ষাট কিলোমিটার বেগেও দমকা হাওয়া বইতে পারে । মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে । ঝড়-বৃষ্টির চেয়ে আজ শঙ্কার কারণ বজ্রপাতের তীব্রতা ।"
সেইসঙ্গে বৃষ্টি সম্পর্কে তিনি বলছেন, "11 থেকে 13 মে অর্থাৎ শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চললেও তীব্রতা কমবে । কমে যাবে বজ্রপাতের তীব্রতাও । কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত আরও চার-পাঁচদিন চলবে ৷’’ পাশাপাশি সৌরিশ আরও বলেন, "দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হবে । তিরিশ থেকে চল্লিশ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া-সহ আরও 4-5 দিন বৃষ্টিপাত চলবে সেখানে ৷ তবে দক্ষিণবঙ্গের সংলগ্ন জেলা মালদা-সহ দুই দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের দাপট থাকবে আরও কিছুদিন ৷ তারপর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেলে পারদ ফের উর্ধ্বগামী হবে ৷" তবে একদিনের বৃষ্টিতে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের কারণ কী ? সেই প্রসঙ্গে সৌরিশ বলেন, "টানা তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়ায় অস্থিরতা ছিল । এখন বায়ুর গতিপথের পরিবর্তন হয়েছে । বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করেছে বঙ্গে । ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে । এখন অসম থেকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে উত্তর ওড়িশা পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছে । আর সেই কারণে এই পরিবর্তন ৷"