কলকাতা, 18 মার্চ: বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পর এবার দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সিপিএম সাংসদ পদপ্রার্থী সায়রা হালিম এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ৷ নির্মীয়মাণ বহুতলের ওখানে যাওয়ার আগেই পুলিশ আধিকারিকরা আটকে দেন তাঁদেরকে । সিপিএমের প্রতিনিধিদের তরফে বারবার আবেদন করা হলেও পুলিশ শোনেনি বলে অভিযোগ ৷ শেষে পুলিশের ফাঁক গলে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেন সেলিম ৷
তবে এরপরেও পুলিশ তাঁকে আটকে দেয় ৷ তারা জানায়, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ উচ্চস্তরের আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া কাউকেই ভিতরে ঢুকতে দিতে পারে না পুলিশ ৷ তারপরেই পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম-সহ তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিরা ৷ দু'পক্ষের মধ্যে বাক্য বিনিময়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।
রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বহুতলের একাংশ ৷ প্রায় 20 ঘণ্টা হতে চললেও সোমবারও ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে চলছে উদ্ধারকার্য। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় 9 জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে ৷ আহত বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভরতি ৷ এদিন সকালে উদ্ধারকাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নিজে অসুস্থ তাও মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী সুজিত বসুকে সঙ্গে গার্ডেনরিচের ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি ৷ পরে ঘটনায় আহতের বেসরকারি নার্সিংহোমে দেখতে যান মমতা ৷ তিনি দোষীদের শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷
অন্যদিকে গার্ডেনরিচের ঘটনার দায় কার তাই নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে দোষোরোপ ও পালটা দোষারোপের পর্ব চলছে ৷ ফিরহাদ হাকিম বহুতল ভাঙার পিছনে বামেদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, সিপিএম আমলে এই বৈআইনি বাড়ি নির্মাণের তত্ত্বকে তুলে ধরেছেন ৷ তবে ফিরহাদের মন্তব্যের পালটা দিয়েছে সিপিএমও ৷ সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, তৃণমূল আমলে শুধু গার্ডেনরিচ নয়, কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জলাভূমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে ।
আরও পড়ুন:
- গার্ডেনরিচ নিয়ে বামেদের বিরুদ্ধে দোষারোপে ফিরহাদকে পালটা জবাব বিকাশরঞ্জনের
- গার্ডেনরিচের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে 7, ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও চলছে উদ্ধারকার্য
- গার্ডেনরিচের ঘটনায় 'অবৈধ' জল্পনা উড়িয়ে ফিরহাদ বললেন 'বাম জামানা থেকেই বেআইনি নির্মান'