আসানসোল, 21 জানুয়ারি: পুলিশের নাকের ডগায় সুড়ঙ্গ তৈরি করে দেদার কয়লা চুরির অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে হানা দিয়ে সুরঙ্গে নেমে বস্তা বস্তা কয়লা উদ্ধার করল পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে ৷ যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি ।
একদিকে যখন আসানসোল সিবিআই কোর্টে বেআইনি কয়লা পাচার-কাণ্ডে প্রথম ট্রায়াল চলছে, তখন ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে রীতিমতো সুড়ঙ্গ তৈরি করে চলছিল কয়লা চুরি । স্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের ভানোরা খোলামুখ খনিতে সুরঙ্গাকৃতি বেআইনি খাদান তৈরি করেই চলছিল এই দেদার কয়লা উত্তোলন । আর সেখানেই হানা দিল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ । আর এতদিন পর্যন্ত নাকি পুলিশের কাছে তার কোনও খবরই ছিল না ৷ এলাকাই হইচই হতেই পুলিশি অভিযান চলে । এরপর এদিন সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় বস্তা বস্তা কয়লা ।
বস্তা বস্তা কয়লা উদ্ধার আসানসোলে (ইটিভি ভারত) স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সমতল থেকে প্রায় 80 ফুট মাটির নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি করে বহুকাল ধরেই ওই অঞ্চলে কয়লা উত্তোলন চলছিল । পুলিশকে বারবার তাঁরা জানালেও নাকি পুলিশ বিষয়টি নিয়ে এতদিন গা করেনি । বিপুল বাউড়ি ও রঘুবীর বাউড়ি, "বহুকাল ধরে এখানে বেআইনি কয়লা খাদান চলছে ৷ পুলিশকে মৌখিকভাবে আমরা বহুবার জানিয়েছি ৷ কিন্তু পুলিশ আজানা কারণে অভিযান করত না ৷"
পরিত্যক্ত খনিতে সুড়ঙ্গ তৈরি করে দেদার কয়লা চুরির অভিযোগ (নিজস্ব ছবি) আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানিয়েছে, গভীর সুড়ঙ্গ পথে বস্তা বন্দি করে 2 কুইন্টাল কয়লা জমা করে রাখা ছিল । তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ হানা দিয়ে এই কয়লা বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়। কিন্তু কীভাবে এই কালো কারবার চলছে বা কারা এই ব্যবসা চালাচ্ছে তা নিয়ে পুলিশ কোনও উত্তর দিতেও পারেনি ।
ইসিএলের পরিত্যক্ত কয়লা খনি (নিজস্ব ছবি) আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস ইটিভি ভারতকে বলেন, "আমরা খবর পেয়েই পরিত্যক্ত খনিতে হানা দিয়েছি ৷ সেখান থেকে কয়লা উদ্ধার হয়েছে ৷ আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি ৷ খতিয়ে দেখছি এর পিছনে কারা কারা জড়িত রয়েছে ৷"
ইসিএলের পরিত্যক্ত খনি থেকে কয়লা চুরি (নিজস্ব ছবি)