বারাসত, 3 জুন: মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটল বারাসত লোকসভার কদম্বগাছির 61 নম্বর বুথের পুনর্নির্বাচন । সকাল থেকে ভোটারদের একাংশের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা না-দিলেও বেলা গড়াতেই ভোটারদের ভিড় বাড়তে থাকে বুথের সামনে । তবে, পুনর্নির্বাচনে কদম্বগাছির সরদার পাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরুষদের থেকে মহিলাদেরই আগ্রহ বেশি ছিল ভোটদানে । এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে পুরুষদের নিজেদের কর্মস্থলে চলে যাওয়া । যদিও বিকেলের দিকে কাজ থেকে ফিরে অনেকেই গিয়েছেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে । যার ফলস্বরূপ ভোট শতাংশও অনেকটাই বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
সপ্তম দফার ভোটে বারাসত লোকসভার এই বুথেই দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে । বুথের ওয়েব কাস্টিং সিসি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরাও পড়েছিল । বুথের প্রিসাইডিং অফিসার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে । সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সোমবার কদম্বগাছির সরদার পাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের 61 নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
সেই মতো সকাল সাতটা থেকে সন্ধে ছ'টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছির এই বুথে । সকালের দিকে ভোটকেন্দ্র কার্যত ফাঁকা ছিল । ভয়, আতঙ্ক কাজ করায় ভোটারদের অনেকেই বুথমুখী হতে চাননি। এরপর গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রুটমার্চ করতেই আস্থা বাড়ে ভোটারদের মনে । আতঙ্ক কাটিয়ে বুথমুখী হন একে একে । যার ফলে বেলা গড়াতেই ভোট শতাংশও বাড়তে থাকে এই বুথে ।
বারাসতের 61 নং বুথে পুনর্নির্বাচন (নিজস্ব চিত্র) এ দিকে, ভোটারদের ভোটদানে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে সকালের দিকে কদম্বগাছিতে গিয়ে বুথমুখী করার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতা কাশেম আলি । তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা শুরু হয় । চলে ধাক্কাধাক্কিও । যার জেরে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয় 61 নম্বর বুথ চত্বরে ।পরে অবশ্য ওই বিজেপি নেতাকে বের করে দেওয়া হয় বুথের সামনে থেকে । সকালের দিকে বিক্ষিপ্ত ওই অশান্তি ছাড়া এ দিন মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে বারাসত লোকসভার কদম্বগাছির সরদার পাড়ার 61 নম্বর বুথের পুনর্নির্বাচন ।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল তিনটে পর্যন্ত প্রায় 59 শতাংশ ভোট পড়ায় দিনের শেষে সেই ভোটের হার আরও যে বাড়বে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায় ।