হাওড়া, 23 জানুয়ারি: বালি সেতুর উপর বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষায় বহু যাত্রী ৷ কেউ কেউ আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর মাঝে থাকা জালের বেরা টপকে পারাপার করছেন । আশঙ্কা মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বালি সেতু-সহ বালি হল্ট স্টেশনের সামনের জাতীয় সড়কে ধরা পড়ল যাত্রী হয়রানির ছবি ।
ডানকুনি-শিয়ালদা শাখায় চারদিন ধরে ট্রেন বন্ধের ঘোষণা আগেই করেছিল পূর্ব রেল । আর তার সঙ্গে জানানো হয়েছিল, ওই সময়ই টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে বালি ব্রিজের একাংশও । বৃহস্পতিবার থেকে ডানকুনিগামী বাস ও গাড়ি নিবেদিতা সেতু দিয়ে চলাচল করছে । ফলে 27 জানুয়ারি পর্যন্ত এইভাবেই বালি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হবে মানুষকে ৷ তাতে দুর্ভোগ বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে ।
হুগলির বৈদ্যবাটি বাসিন্দা অর্জুন দাস বলেন, "কাজে বেড়িয়ে প্রচণ্ড হয়রানির শিকার হচ্ছি । একে ট্রেনের হয়রানি, তারপরে এই গাড়ির হয়রানি । কীভাবে রুট ঠিক করব, অন্যদের ফোন করে রুট ঠিক করতে পারছি না । আমরা ধুলাগড় যাব ৷ ওপারের লেন দিয়ে যেতে হবে ৷ আমরা উলটো দিকের লেনে চলে এসেছি । এখন হয়রান হচ্ছি । সকালে নির্দিষ্ট সময়ের তিনটে ট্রেন আগে চলে এসেছি । গতকাল রাত পর্যন্তও পুলিশের কোনও তৎপরতা ছিল না । আজকে তাদের একটু আগে থেকে দেখা যাচ্ছে । অফিসের গাড়ি থাকাতে যেতে পারবো দেরি হলেও, তবে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে এটাই চিন্তার ।"
বালির বাসিন্দা অভিজিৎ মান্নার কথায়, "শুনেছি 100 ঘণ্টা ট্রেন বন্ধ থাকবে ৷ যাতায়াতে খুব সমস্যা হচ্ছে ৷ বিশেষ করে ডানলপ থেকে বাস সোজা বালি হল্ট নামাচ্ছে ৷ মাঝখানে দক্ষিণেশ্বর বা বালিঘাটে দাঁড়াবার কোনও জায়গা নেই ৷ রাস্তাপারের ক্ষেত্রেও খুব মুশকিল হচ্ছে ৷ অনেকটা হেঁটে বাস ধরতে হচ্ছে ৷ কীভাবে যেতে হবে বুঝতে পারছি না ৷ বিকল্প কিছু ভাবা উচিত ছিল ৷ এভাবে একসঙ্গে ট্রেন-বাস বন্ধ করে দেওয়া উচিত হয়নি ৷" এয়ারপোর্টের বাসিন্দা তানিয়া পাইক বলেন, "আমি জানতাম না বালি ব্রিজ বন্ধ ৷ বেরিয়ে সমস্যায় পড়েছি ৷ নতুন রুট দিতে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৷"