কলকাতা, 20 জুন: আচমকাই নবান্নে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্তমানে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদাম্বরম। লোকসভা ভোট মিটতেই চিদাম্বরমের নবান্নে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ আগামী সোমবার থেকে সংসদে অধিবেশন বসতে চলেছে ৷ তার আগে মমতা-চিদাম্বরম সাক্ষাৎ উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহলমহল ৷
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ নবান্নে আসেন কংগ্রেস সাংসদ চিদাম্বরম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয় বলেই জানা গিয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চিদাম্বরমের কী কথা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতাও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ৷ তবে মনে করা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের পর আরও একবার কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস কাছাকাছি আসতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসের দূত হিসাবেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বলে সূত্রের খবর। লোকসভার প্রথম অধিবেশনের আগে বিরোধীদের একজোট করতে চিদাম্বরমের এই মমতা-সাক্ষাত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষকর্তা ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন। জমি বেহাত হওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুতের অপচয়, একাধিক বিষয় উঠে এসেছে এদিনের মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনায়। নবান্ন সূত্র থেকে এমনটাও জানা গিয়েছে, এদিন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকেও উন্নয়নের বিষয় নিয়েও বেশ কিছু পরামর্শ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে রাজ্যে তৈরি হওয়া ফ্রেড কড়িডোরগুলি কীভাবে আরও কার্যকরী করে গড়ে তোলা যায় তা নিয়েও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছেন মমতা, এমনটাও শোনা যাচ্ছে। একইভাবে রাজ্যে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে রাজ্যের তৈরি ল্যান্ড ব্যাংক নিয়েও শোনা যাচ্ছে চিদাম্বরমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মমতার।
তবে যখন পি চিদাম্বরমের মত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন তখন যে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হবে না, এমনটা অবশ্য জোর দিয়ে বলছে না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ছিক কী নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে সেদিকেই তাকিয়ে আছে ওয়াকিবহল মহল।