আসানসোল, 26 ডিসেম্বর:খনি বিস্ফোরণের ফলে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, গ্রামবাসীরা ভাঙচুর চালাল ইসিএলের খনিতে। বুধবার বিকেলে বারাবনির চরণপুর এলাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। চরণপুর খোলামুখ খনিতে ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী কম্পিউটার ভাঙচুর করে আগুন পর্যন্ত লাগিয়ে দেওয়া হয়। মোতায়েন রয়েছেন সিআইএসএফ জওয়ানরা ৷
গত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল ইসিএলের চরণপুর কয়লাখনিতে বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে উঠছে বাড়ি। এমনকী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকা। খনিজনিত কারণে বারবার ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকাবাসীরা।
ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা (ইটিভি ভারত) বিস্ফোরণের জেরে বারেবারে ধস নামে বারাবনিতে। বারাবনির চরণপুরে কালীমন্দিরের কাছে সম্প্রতি ধস নামে। বারাবনি ব্লকের দোমোহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চরণপুর হাটতলায় ধসের ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। এলাকায় বহু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
জনরোষ গিয়ে পড়ে খনি চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলির উপর (নিজস্ব ছবি) বুধবার বিকেলের দিকে পুনরায় বিস্ফোরণ হয় চরণপুর খনিতে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। ছিটকে আসে পাথর। এরপরেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে। চরণপুর খোলামুখ কয়লাখনি চত্বরে উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ।
ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালানো হয় (নিজস্ব ছবি) অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়, ভেঙে দেওয়া হয় কম্পিউটার, প্রিন্টার-সহ অন্যান্য যন্ত্র। এমনকী কম্পিউটার বের করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। শুধু তাই হয়, জনরোষ গিয়ে পড়ে খনি চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলির উপর ৷
ভেঙে দেওয়া হয় কম্পিউটার, প্রিন্টার-সহ অন্যান্য যন্ত্র (নিজস্ব ছবি) ইসিএলের বেশ কয়েকটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে অফিসের কর্মীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ও সিআইএসএফ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকালেও পরিস্থিতি থমথমে ৷ এলাকায় সিআইএসএফ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি টহল চলছে। বারাবনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, কেন এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।