কল্যাণী, 8 ফেব্রুয়ারি: কল্যাণীর বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে 4 জনের ৷ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিক সাধন বিশ্বাস ওরফে খোকনকে। শনিবার ঘটনাস্থলে আসছে ফরেনসিক প্রতিনিধি দল ৷
বিস্ফোরণের পর কল্যাণী থানার পুলিশ গভীর রাত পর্যন্ত বাজি কারখানায় তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একাধিক বাজি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এরপর ঘটনাস্থলে আসছে ফরেনসিক প্রতিনিধি দল। মূলত কী কারণে আগুন লাগল, আগুনের গতিবেগ কতটা ছিল-সেই সমস্ত তদন্ত করবে তারা।
- শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার কল্যাণী থানার অন্তর্গত রথতলা এলাকার একটি বাজি কারখানায় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের পর কারখানায় আগুন লেগে যায়। আগুনের অভিঘাত এতটাই ছিল যে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে যায় পুরো কারখানা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কল্যাণী থানার পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা। দমকলের 5টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিলেও পৌঁছতে পারেনি ৷
- যে কারখানায় আগুন লেগেছে সেখানে যাওয়ার রাস্তা ভীষণ শুরু। তার ফলে দমকলের কোনও ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। দমকল কর্মীরা বালতি করে জল নিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ৷ সেই কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা বেগ পেতে হয় তাঁদের। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর দেখা যায় ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় আরেকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনিও মারা যান। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে বেআইনিভাবে ওই কারখানাগুলি চলত?