শিলিগুড়ি, 29 অক্টোবর: আরজি কর কাণ্ডের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়ানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷
নিরাপত্তা ব্যবস্থার পদক্ষেপ-
- উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের রেস্টরুমে বসতে চলেছে নতুন 'হাই সিকিউরিটি ডোর'।
- প্রথম দফায় 44টি রেস্ট রুমের মধ্যে 28টি নতুন ওই অত্যাধুনিক সিকিউরিটি ডোর বসতে চলেছে।
- বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত রেস্টরুমগুলিতে ওই 'হাই সিকিউরিটি ডোর' লাগানো হবে। ইতিমধ্যে তার কাজ শুরু করেছে ওয়েবেল ও পূর্ত দফতর।
- দরজার বাইরে থাকবে 'ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন' সেখানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের হাতের ছাপ আগে থেকে ইনস্টল রাখা থাকবে। ওই সকল চিকিৎসকদের আঙুলের ছাপ মেশিনে দিলেই খুলবে দরজা। এতে বহিরাগতরা আর রেস্ট রুমে ঢুকতে পারবেন না।
- এছাড়াও, নতুন করে আরও 41টি সিসিটিভি ক্যামেরা ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল চত্বরে লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে।
সব মিলিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, "আমাদের মেডিক্যাল কলেজে প্রথম দফায় 28টি 'হাই সিকিউরিটি ডোর' লাগানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও, একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে বসছে হাই সিকিউরিটি ডোর (ইটিভি ভারত) জুনিয়র ডাক্তার কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, "শীর্ষ আদালতে নির্দেশ এবং আমাদের দাবিমতো অনেকটাই কাজ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে হয়েছে। সমস্যা প্রায় অনেকটাই মিটেছে। এবার রেস্টরুমে হাই সিকিউরিটি ডোর বসছে। এছাড়াও, সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। আশা করি আমাদের দাবি সমস্তটাই পূরণ করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।"
জানা গিয়েছে, আরজি করের ঘটনার পর দু'টি ধাপে মোট 210টি সিসিটিভি লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সিসিটিভিগুলি বসানোর কাজ প্রায় শেষ। নতুন করে আরও 41টি সিসিটিভি লাগানোর কাজ করা হবে। এর পাশাপাশি, 60 জন অতিরিক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আগে 80 জন নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে 140 জন করা হয়েছে। এছাড়াও, হাসপাতাল চত্বরে টহলদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। ক্যাম্পাসে 50টি নতুন শৌচাগার তৈরির কাজও হাতে নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ, যার মধ্যে 42টি শৌচাগার ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলির কাজও চলছে।