কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার রাত বারোটা নাগাদ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বেহালা থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই বেহালা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম সৃজনীর দালাল ৷ নব নালন্দা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল সৃজনী ৷ রাতেই ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । দেহটি দেখে তাদের প্রাথমিক অনুমান ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "দেহটি আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এখনও এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে স্থানীয় বেহালা থানায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।"
কোনও পছন্দ মতো জিনিস না-পাওয়ার ফলে আত্মঘাতী হওয়ার প্রবণতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে কমবয়সি ছেলেমেয়েদের মধ্যে ৷ লালবাজারের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এতে এগিয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। শিশু মনে কতটা প্রভাব পড়লে এই ধরনের আত্মঘাতী হওয়ার ভয়ানক ইচ্ছাকে বেছে নেয় তারা? এই বিষয়ে কেপিসি হাসপাতালের মনোরোগ চিকিৎসক ডাক্তার তীর্থঙ্কর গুহ ঠাকুরতা ইটিভি ভারতকে বলেন, "বিদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত কাউন্সিলিং বা মনের পরিচয় পর্ব চালু করা হলেও এই দেশে এখনও পর্যন্ত সেই ভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সিলিং প্রায় হয় না-বললেই চলে।"
তিনি বলেন, "আমাদের উচিত একটি শিশু যখন থেকেই সে বড় হচ্ছে তখন থেকেই তার মনের সুপ্ত বাসনা এবং ইচ্ছেগুলোকে জানা ৷ সেগুলি অত্যন্ত ধৈর্য এবং দৃঢ়তার সঙ্গে তাকে বোঝানো তার জন্য কোনটা উপযোগী এবং কোনটি উপযোগী নয়। এছাড়া শিশু মনকে ছোট থেকেই দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলার জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের কৌশল রয়েছে। সেগুলি অবলম্বন না করলে এই সামাজিক ব্যাধি বেড়ে চলবে বরং কমবে না।"