কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: "মুখ্যমন্ত্রী নন, একজন সাধারণ মহিলা হিসেবে ঘটনাস্থলে গেলে কতটা অপরাধ হয়েছে বুঝতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷" সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যপালকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। তাঁর আরও দাবি, রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে । এদিকে, রাজ্যপালের পাশে বসে রেখা যখন প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন ঠিক তখনই স্থানীয় এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ঠিক কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
রাজভবনে আসার আগে এদিন সকালে কলকাতায় এসেই সন্দেশখালি গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা-সহ কমিশনের অন্য দুই সদস্য । সন্দেশখালি থেকে তাঁরা সোজা এসে পৌঁছন রাজভবনে। রাজ্যপালের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও করলেন তাঁরা। প্রায় দু'ঘণ্টা পর বৈঠক সেরে ঘুরে দেখেন রাজভবনের 'সেফ হোম'।
এদিন রেখা শর্মা বলেন, "আমার মতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া দরকার। শাহজাহানকে বাঁচানো হচ্ছে কারণ সে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক সন্ত্রাস মিটতে সময় লাগে। এখানে কিছু দুষ্কৃতী এই সন্ত্রাস তৈরি করছে। আজ আমি এসপির সঙ্গেও কথা বলেছি। আমি যা দেখলাম সব দেখে যে রিপোর্ট দেব। এ কথা বলব এখানে রাষ্ট্রপতি শাসন হলেই পরিস্তিতি ঠিক হবে।"
পরে সাংবাদিক বৈঠকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, "প্রথমে যেমন শোনা যাচ্ছিল, একজনই নির্যাতিতা আছেন, কিন্তু আমরা যখন গেলাম তখন অনেকেই অভিযোগ করেছেন আমাদের কাছে। একজন অভিযোগ করেছেন পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর নির্যাতন করা হয়েছে। যাঁরা বলছেন এরকম কোনও ঘটনা ঘটছে না, তাঁরা একটু গিয়ে দেখুন। আজ ভাই হিসেবে বোনদের জন্য ঘর বানিয়েছেন রাজ্যপাল। সন্দেশখালিতে যারা নিজেদের সুরক্ষিত ভাবতে পারছেন না তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা। কিন্তু ওই মহিলারা নিজের ঘরে নিরাপত্তা চাইছেন। পুলিশদের কাছে আবেদন করব তারা রাজনৈতিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে কাজ করুক। বুধবার আমি রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করব। মাত্র দু'জন গ্রেফতার হয়েছেন। শাহজাহান এখনও গ্রেফতার হননি।"