নরেন্দ্রপুর, 8 মে:মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলেও তাঁক লাগিয়ে দিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ৷ মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন দ্বিতীয় সৌম্যদীপ সাহা ছাড়াও আরও পাঁচজন ৷ সৌম্যদীপের প্রাপ্ত নম্বর 495 ৷ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে ষষ্ঠ হয়েছেন নীলয় চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি পেয়েছেন 491 ৷ মাধ্যমিকেও মেধাতালিকায় জায়গা করেছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের 6 জন ৷ তৃতীয় হয়েছিল নৈরিতরঞ্জন পাল (691) ৷ প্রথম দশে নৈরিত ছাড়াও জায়গা পেয়েছিল এই স্কুলের আরও পাঁচ পরীক্ষার্থী ৷
এছাড়াও মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন অদ্বিতীয় বন্দ্যোপাধ্যায় (কলা বিভাগ) ও অর্ক্য সাহা (বিজ্ঞান) ৷ দু'জনেরই প্রাপ্ত নম্বর 488 ৷ মেধাতালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন অদ্বিতীয় ও অর্ক্য ৷ দশম স্থানে রয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের দুই ছাত্র সোহম মুখোপাধ্যায় ও শুভজিৎ ঘোষ ৷ তাঁরা পেয়েছেন 487 ৷ দু'জনেই বর্ধমানের বাসিন্দা ৷ উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি জেইইএমসে খুব ভালো ফল করেছেন সোহম মুখোপাধ্যায় ৷ সারা ভারতে তাঁর ব়্যাংক 328 ৷
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দ মহারাজ বলেন, "মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্য৷মিকের ফলে আমরা ভীষণ খুশি ৷ আমরা ভালো ফলের আশা করেছিলাম ৷ এবারে যারা ভালো ফল করেছে তাঁরা কেউ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় ছিল না ৷" উচ্চমাধ্য৷মিকের ক্ষেত্রেও আবাসিক বিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা পরীক্ষার্থীদের সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক । তাঁর কথায়, "বাংলায় বেশিরভাগ অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার করতে চান ৷ তাই বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ঝোঁক বেশি ৷ তবে এর বাইরেও ইকো-স্টাট-ম্যাথ যে রয়্যাল কমিনেশন সেটা সম্পর্কে অবহিত হওয়া দরকার ৷ আমাদের ছাত্রদের সাফল্য থেকে সেই বিষয়টি উঠে আসছে ৷"