গোর্খা-সমস্যা সমাধানের দোড়গোড়ায়, পাশে থাকুন: নরেন্দ্র মোদি শিলিগুড়ি, 9 মার্চ:"জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে 370 ধারা বাতিল হয়েছে,ঠিক সেভাবেই পাহাড়ে গোর্খাদের সমস্যার সমাধান হবে।" শিলিগুড়ির কাওয়াখালির ময়দানের জনসভায় জোর গলায় এমনই বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গোর্খা সমস্যার সামধানের পথ এখনও পর্যন্ত প্রশস্ত হয়নি বলে দাবি করেন মোদি । সেই উদাহরণ টেনেই তাঁর দাবি, " দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যদি অযোধ্যা মন্দির নির্মাণ সম্ভব হয় তাহলে গোর্খাদের সমস্যারও সমাধান হবে।" বাংলায় মাত্র 9 দিনে 4 বার এলেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গে এটাই প্রথম জনসভা। তাই পাহাড়ের সমস্যা থেকে চা শ্রমিকদের পরিস্থিতি-সহ গোর্খা প্রসঙ্গে মোদির আশ্বাস, জনসভার গুরুত্বকে কয়েক গুন বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে।
গোর্খা প্রসঙ্গকে তুলে বিষয়টিকে চব্বিশের লোকসভা ভোটে আরও প্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই বক্তব্য রাখেন মোদি । যে সমস্যা পাহাড়ের প্রাচীন কাঁটা, সেই কাঁটাকেই খোঁচালেন তিনি । যদিও গোর্খাতেই থেমে থাকেননি, চা শ্রমিকদের সমর্থনে আওয়াজ তুলেই মোদির বার্তা, " চা শ্রমিকদের চা ওয়ালার প্রণাম।"
মোদির নিশানায় শুধু তৃণমূল নয়, ছিল বাম-কংগ্রেস উভয়ই । তাঁর দাবি, " প্রত্যেক দল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত । কেউ চা-শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে ভাবে না । একেবারে মহিলা চা শ্রমিকদের সমস্যাকে সামনে এনেই, মোদির আশ্বাস, বিনামূল্যে রেশন থেকে বিদ্যুৎ সব পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, " বাংলার মানুষ বিনামূল্যের রেশন থেকে বঞ্চিত, কারণ রেশনেও দুর্নীতি করেছে তৃণমূল, আটকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান থেকে উজ্জ্বলা প্রকল্প ।"
মোদির দাবি, চা শ্রমিকদের উন্নয়ন উত্তরবঙ্গে থমকে, কারণ তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের মিলিত জোট পাহাড় সহ চা শ্রমিকদরে উন্নয়ন চায় না । আর হয়ত সেই কারণেই, একের পর এক চা শ্রমিকদের উন্নয়নে বিজেপির লাগাতার চেষ্টার উপর জোর দিলেন তিনি । বললেন, " প্রথম থেকেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বিজেপির অন্যতম লক্ষ্য । " তাই মোদি তীব্র কন্ঠেই বলে উঠলেন, " উত্তরবঙ্গে প্রত্যেক বুথে যেন পদ্ম ফোটে।"
তিনটে টি-কে গুরুত্ব দিয়ে নরেন্দ্র মোদির জোর দিলেন- টি, টিম্বার ও ট্য়ুরজিমের উপর । সম্পূর্ণ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নকে সামনে রেখেই মোদির আশ্বাস জোড়াল হল আজকের শিলিগুড়ির জনসভায় । ভুললেন না সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলেই দলিত, আদিবাদী মহিলা থেকে চা মহিলা শ্রমিকদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, "সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতারা নারীদের সঙ্গে কী করেছেন সবার জানা, মহিলা চা শ্রমিকরাও তৃণমূলের এই আগ্রাসী আচরণের শিকার হতে পারেন। "
ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির মাত্র নয়দিনে বাংলায় চার বার আসার প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই প্রমাণিত। মোদির দাবি, তাঁর সভায় যোগ দিতে মালদা থেকেও লোক এসেছেন । তাই সভা শেষে জনসভার প্রত্যেককে মোবাইলের আলো জ্বালাতে বলেন মোদি। জনসভার ভিড়কে চিহ্নিত করতেই নরেন্দ্র মোদির এই আহ্বান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন:
- তৃণমূলের ব্রিগেড সভাকে 'জলসা ও ফ্যাশন প্যারেড' বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পালটা ফিরহাদের
- 'ভাঙছে মমতার দল, নো ভোট টু তৃণমূল', বিজেপির ব্যাট হাতে ময়দানে অভিজিৎ
- ভাঙছে প্রথা ! ব্রিগেডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা মমতার