আরামবাগ, 1 মার্চ: বাংলায় এসে সরাসরি এবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মনে করিয়ে দিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়ার টাকার কথাও। 100 দিনের কাজ বা আবাস যোজনা নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সোচ্চার, ঠিক সেই সময়ই পালটা তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, “লুটের টাকা ফেরাতে হবে ৷ মোদি কাউকে ছাড়বে না।”
শুক্রবার আরামবাগের সভা থেকে তীব্র ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা যেভাবে রাজ্যে দুর্নীতি করেছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট করেছেন, তা নিয়েও এদিনের সভামঞ্চ থেকে সোচ্চার হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ৷ এদিন মোদি বলেন, "তৃণমূল বাংলায় অপরাধ, দুর্নীতির নয়া মডেল তৈরি করেছে ৷ রাজ্য সরকার অপরাধীদের সংরক্ষণ দেয়, তাদের বাঁচায় ৷ যার জন্য তৃণমূল নেতাদের ঘরে মোটা টাকা আসে ৷ শিক্ষক নিয়োগ, পৌরসভায় নিয়োগ, গরিবকে রেশন দেওয়া, সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে তৃণমূল ৷ তৃণমূলের মন্ত্রীদের ঘর থেকে টাকার বান্ডিল পাওয়া যায় ৷ সিনেমাতেও তা দেখা যায় না ৷ আর সেই সব ধরতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিরা আসলে এখানকার সরকার তাদের আটকাচ্ছে ৷ এখানকার মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে ধরনায় বসেন ৷"
এখানেই শেষ নয়, এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "এই তৃণমূল যা করছে তা আমি ছেড়ে দেব ? এই লুটেরাদের সব ফেরত দিতে হবে ৷ মোদি এদের ছেড়ে দেবে না ৷ আমি ভয় পাই না ৷ আমি হালও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নই ৷ যারা গরিবদের থেকে লুট করেছেন তাদের ফেরত দিতে হবে ৷ এটা আমার গ্য়ারান্টি ৷" এর সঙ্গেই, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের প্রচারের পালটা এদিন মোদি বলেন, "এখানকার রাজ্য সরকার ঘর বানাতে দিচ্ছে না গরিবদের ৷ পাকা বাড়ি পায়নি রাজ্যের মানুষ ৷ সারা দেশে চার কোটি বাড়ি বানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ যারা আপনাদের ঘরে জল পৌঁছতে দিচ্ছে না তাদের মাফ করা যায় ? তাদের খাবার-জল বন্ধ করে দেওয়া উচিত তো ? কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে অথচ এখানকার সরকার সেই কাজ করছে না ৷ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কিন্তু গরিব, এসসি, এসটি বিরোধী এই তৃণমূল এখানকার গরিব মানুষদের সেই প্রকল্পের সুবিধা দেয়নি ৷ তৃণমূল সরকার সব টাকা লুঠ করছে ৷ গরিব, কৃষক, মহিলা, যুবদের শক্তি বৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল ৷ মুসলিম বোন-মা-মহিলারা এবার আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না ৷ তারাও এবার তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে ৷"