গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ৷ সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করতে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী ৷
পাণ্ডুয়া, 22 ডিসেম্বর: হুগলিতে সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করতে এসে দলীয় কর্মীদের একাংশের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মিঠুন চক্রবর্তী । তাঁর দাবি, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই কারণ হুগলি লোকসভায় হেরে গিয়েছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷
হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল 3 লক্ষ ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত 51 হাজার সদস্য গ্রহণ করতে পেরেছে জেলা নেতৃত্ব। সক্রিয় সদস্যের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়ে গিয়েছে । সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার কথা ছিল 3 হাজার ৷ সেখানে মাত্র 363 জন সক্রিয় সদস্য হয়েছেন । পাণ্ডুয়ার কর্মশালায় এই তথ্য শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে যান মহাগুরু । কর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনে রীতিমতো রেগে যান তিনি ৷
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মিঠুনের (ইটিভি ভারত)
মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, "আমাকে ডেকে আনবেন ৷ আমি মুড়ি-গুড় খেয়ে প্রচার করব ৷ তার ফল হিসেবে জিতে যাওয়া সিট হেরে যাবে দল । কী লজ্জা !" তিনি আরও বলেন, "আমি কথা দিয়েছিলাম তাই এসেছি । দলকে সময় দিয়ে কী লাভ !" এরপর তিনি বলেন, "এখানে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে আমরা জিততে পারিনি । খুবই দুঃখের বিষয় এটি । সকলে কাজ করলে লকেটকে হারতে হত না ৷ এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে ।" সেই সঙ্গে এই বিজেপি নেতার অভিযোগ, "আগে সমস্ত নকল মেম্বারশিপ ছিল ৷ এখন যাঁরা সদস্য হচ্ছেন, তাঁরাই দলের একমাত্র সদস্য ৷"
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা যদিও মানতে চাননি হুগলি জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ৷ তিনি বলেন, "কয়েকজন হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিলেন । তাঁদের বাদ দিয়ে দলের সকলে একসঙ্গে লড়াই করছেন । সমন্বয় যদি না-থাকতো, তাহলে আমাদের সদস্য 51 হাজার হত না । আগে খাতায় লিখে মিসকল দিয়ে সদস্য হত । এখন মোবাইলে রেজিস্টার করাতে হচ্ছে ৷ তাতেও প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা রয়েছে ৷"