পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

আগুন লাগার পর বিদ্যুৎহীন মেহেতা বিল্ডিং, জীবনদায়ী ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের - Mehta Building Fire Incident - MEHTA BUILDING FIRE INCIDENT

Kolkata Mehta Building Fire: মঙ্গলবার বিকেলে আগুন লেগেছিল ৷ সেই থেকে আজ বৃহস্পতিবারও কারেন্ট আসেনি ওষুধপট্টি হিসেবে পরিচিত মেহেতা বিল্ডিংয়ে ৷ সেই কারণে বিপুল টাকার ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা ৷

Mehta Building Kolkata Barabazar
মেহেতা বিল্ডিংয়ে দুদিন ধরে কারেন্ট না থাকায় ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 27, 2024, 5:35 PM IST

কলকাতা, 27 জুন:আগুন লাগার ঘটনার পর48 ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি মেহেতা বিল্ডিংয়ে ৷ মঙ্গলবার বিকেল চারটের সেই অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎ পরিষেবা । যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন মেহেতা বিল্ডিংয়ের ব্যবসায়ীরা। কারণ ওই বিল্ডিংয়ে রয়েছে প্রায় 500টিরও বেশি ওষুধের দোকান । এই বিল্ডিংকেই বলা হয় ওষুধের দোকানের মূল জায়গা । ফলে এবার চিন্তায় পড়ছেন দোকানদাররা।

জীবনদায়ী ওষুধ নষ্টের আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের (ইটিভি ভারত)

চিন্তার কারণ হল এখানকার প্রায় সব ওষুধের দোকানেই জীবনদায়ী ওষুধ এবং ভ্যাকসিন রয়েছে । যেগুলো ফ্রিজে থাকে ৷ সেক্ষেত্রে দু'দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন দোকানদাররা ৷ এই বিষয়ে ক্যালকাটা হোলসেল মেডিসিন মার্কেট কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র দত্ত বলেন, "এখানে আমাদের দোকানগুলিতে এই জীবনদায়ী ওষুধগুলো লাইসেন্স দেওয়া হয় একটি শর্ত মেনে। সেই শর্তটা হল অবশ্যই ওষুধগুলোকে ফ্রিজে রাখতে হবে । ফ্রিজ মানে বিদ্যুৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এই বিদ্যুৎ না থাকার দরুণ কোটি কোটি টাকার ওষুধ এখন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।

বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের তরফে মেল করা হয়েছে সিএসসিকে । পাশাপাশি যুগ্ম-নগরপাল এবং ডিসি সেন্ট্রালকেও জানানো হয়েছে । বৃহস্পতিবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এলে তাঁদের কাছে আজ বিকেলের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা চাহিদা মতো জোগান দিতে সমস্যা হবে ৷ যার জেরে ওষুধের দাম বেড়ে যেতে পারে ৷

মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছিল মেহেতা বিল্ডিংয়ে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা নেই । এই বিষয়ে ক্যালকাটা হোলসেল মেডিসিন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দাস বলেন, "একটা দোকানে আগুন লেগেছিল । সেখান থেকে 2টো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে । আগুন লেগেছিল বি ব্লকের চারতলায় । সেখানে যথাযথ জল দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না তাই মেহেতা বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছিল ৷ অন্যদিকে, বাগরি মার্কেট থেকেও জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল । কিন্তু বিষয়টাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি ।"

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল চারটের সময় আচমকাই আগুন লাগে বড়বাজারের মেহেতা বিল্ডিংয়ে । কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় দমকলের 10টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ তখন থেকেই বিল্ডিংয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ যা দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন বিল্ডিংয়ের ওষুধ ব্যবসায়ীরা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details