সাংবাদিকদের মুখোমুখি সেলিম বহরমপুর, 22 এপ্রিল: "টাকা আদায় করতে তৃণমূল নেতাদের নাম সামনে আনুন । তাদের বাড়ি ঘেরাও করুন ৷" হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় 26 হাজার চাকরি যেতেই সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমন পরামর্শ দিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । এদিন তিনি বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশন সব অন্যায় করেছে । আর এই অন্যায় হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের নির্দেশে । কালীঘাট আর নবান্ন থেকে সব পরিকল্পনা হয়েছে । তৃণমূল ভবন থেকে তার রূপায়ণ হয়েছে । টাকা ফেরত দিতে হবে ।"
দীর্ঘ শুনানির পর আজ 2016 সালের এসএসসি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেছে । তাতেই 25 হাজার 753 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে । আর হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর নির্বাচনী প্রচার ছেড়ে বহরমপুরে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ।
তাঁর কথায়, "এই রায় সূদুরপ্রসারী । এর ইমপ্যাক্ট রয়েছে । রাজ্যে হাজার হাজার বেকার চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন । তার মধ্যে অনেক যোগ্যপ্রার্থীকেও চাকরি হারাতে হল । মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করছেন ৷ আইনজীবীদের দোষী দেখাতে চেয়েছেন । হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে যোগ্যদের তালিকা চেয়েছিল । প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী- সহ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অনেকেই জেলে । স্কুল সার্ভিস কমিশন দেখাতে পারেনি । এরপর হাইকোর্ট অযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা চেয়ে বসে । তাও দেখাতে পারেনি ।"
এরপর কটাক্ষের সুরে মহম্মদ সেলিম বলেন,"কাকুর কণ্ঠে ভাইপো ধরা পড়তে পারে । তাই কিছুই সামনে আনা হয়নি । অনেকেই টাকা দিয়েছেন । এর মধ্যে বহু জন রয়েছেন যারা যোগ্য। আমি বলব, এর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আর শিক্ষা দফতরের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন সব অন্যায় করেছে । টাকা আদায় করতে হবে । এর জন্য বাম ছাত্র-যুব সংগঠন আপনাদের সঙ্গে আছে । যাদের টাকা দিয়েছেন সেই সব তৃণমূল নেতাদের নাম সামনে আনুন । তাদের বাড়ি ঘেরাও করুন । টাকা আদায় করতেই হবে ।"
আরও পড়ুন :
- বাতিল 2016 এসএসসি'র সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া, একনজরে নির্দেশনামায় কী বলল হাইকোর্ট
- আইনি লড়াই জিতে 7 মাসের মাথায় চাকরি হারিয়ে হতাশ অনামিকা
- যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছিলেন সিবিআই এবার তাঁদের খুঁজবে, দাবি দিলীপের