কলকাতা, 9 অক্টোবর: নিমতলা ঘাটের বেহাল অবস্থা । বিসর্জন ঘিরে উদ্বেগে কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ । তাই পুজোর শুরুতেই ষষ্ঠীর দিনেই সেখানে পরিদর্শনে ছুটলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজনও । পুজো মিটলে শুরু হবে নিমতলা ঘাটের সংস্কার কাজ ।
কলকাতার বাজা কদমতলা ঘাটে যেমন দক্ষিণের অধিকাংশ বড় পুজোর বিসর্জন হয়, একইভাবে শহরের অধিকাংশ বারোয়ারি প্রতিমা বিসর্জন হয় নিমতলা ঘাটে । তবে এবার সেই ঘাট ভেঙে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । সেখানে পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন কী করে করা হবে, সেটা নিয়েই কপালে হাত পড়েছে পুরকর্তাদের ।
একাংশ গার্ডেরেল দিয়ে ঘেরা । কলকাতায় এরকম মোট 16টি গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন হবে । এছাড়াও একাধিক পুকুর আছে যেখানে অস্থায়ী বিসর্জন হয় । আজ ষষ্ঠীতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ছুটে গিয়েছেন ঘাটের পরিস্থিতি দেখতে । সেখানে ঘাটের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি । সুষ্ঠুভাবে বিসর্জন করতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিমতলায় ।
এ দিকে গঙ্গার পাড় ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মহানাগরিক ৷ ফিরহাদ হাকিম বলেন, "গঙ্গার গতিপথ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে । এটা উদ্বেগের বিষয় । রতনবাবুর ঘাট থেকে পলতা পর্যন্ত পাড় ভাঙনের কবলে । রতনবাবুর ঘাটে প্রচুর ঠাকুর বিসর্জন হয় ৷ সেখানেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে । বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে সেই কাজ করার জন্য ।"
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, নিমতলা ঘাট সংস্কার করার জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে । বর্ষার জলস্তর বেশি থাকায় সেই কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছিল না । পুজোর মরশুম মিটে গেলেই কাজে হাত দেওয়া হবে । পাশেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষকৃত্য-স্থল । সেটাও রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে ।