কলকাতা, 6 জুলাই: দিনেদুপুরে পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে মহানগরে। বারে বারে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। নাদিয়াল থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করলেন জনৈক নাগরিক। এরপরেই থানার নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে লালবাজারে পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে চলেছে কলকাতা পুরনিগম । প্রয়োজনে পৌর আধিকারিকদের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিলেন খোদ মেয়র ৷
পুকুর ভরাট নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত) এ দিন এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, "যদি বার বার করে লিখিত অভিযোগ করে দেখি পুলিশ কাজ করছে না তাহলে তার ভিত্তিতে আমরা পুলিশ কমিশনারকে জানাব । অভিযোগ করার পরেও কর্ণপাত করছে না পুলিশ । এটা শুধু কলকাতা পুরনিগম নয়, পুলিশেরও দেখার দায়িত্ব যে কোন পুকুর ভরাট হচ্ছে, কোনটা হচ্ছে না ।"
এরপরেই পুরমন্ত্রী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে বলেন, "পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ রাজনৈতিক দল দেখায় । কোনও রাজনৈতিক দলের দাদার নামে তো বোর্ড নেই যে সে পুকুর ভরাট করছে । এটা কেবল একটা ভাবনা ।" তিনি সাফ জানান, "পুলিশের কাজ হল এটা দেখার যে পুকুর কে ভরাট করছে । প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতার করা । সেই কাজটা তুমি করবে । অনেক থানা তা করে না । দু'বার থানায় অভিযোগ করে কোনও ব্যবস্থা না-নিলে ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে লালবাজারে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।"
অভিযোগ, শহরে দিন দিন জলাশয় বুঝিয়ে উঠছে বড় বড় ইমারত ৷ এর জেরে কলকাতায় জলাশয় এমনিতেই কমে তলানিতে ঠেকেছে । গুচ্ছ অভিযোগ পুকুর ভরাটেরও । সেসব ঠেকাতে জিএস ম্যাপিং শুরু করেছে কলকাতা পুরনিগম । জলা ভরাট রুখতে যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ । তবে কোথায় কী ! সেই বার্তা অসাধু জমি মাফিয়াদের কানে ঢোকেনি ।
শনিবার 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে নদিয়াল থানা এলাকার মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দাদের অভিযোগে আরও একবার তা স্পষ্ট হল। জনৈক নাগরিকের অভিযোগ, দিনে দুপুরে ভরাট হচ্ছে বিরাট জলাশয়। এতটাই বড় জলাশয় যে রাতারাতি নয়, ধাপে ধাপে প্লটের মতো করে ভরাট চলছে পুকুর। একাধিকবার এই ভরাট রুখতে স্থানীয়রা নদিয়াল থানার দ্বারস্থ হলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ । ভরাট হওয়া জমিতে হচ্ছে বেআইনি নির্মাণ । এই অভিযোগ শুনেই লালবাজারের কাছে ওই থানার পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জমা করতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ।