দুর্গাপুর, 13 জুলাই: নিজের 9 মাসের শিশু সন্তানকে আছড়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৷ পরে তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় রেল লাইন থেকে ৷ শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর শহরে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম আবির রুইদাস এবং তাঁর মৃত সন্তান সুজন রুইদাস ৷ দুর্গাপুরের সগরভাঙার রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা ৷
9 মাসের সন্তানকে আছড়ে খুন করে আত্মঘাতী ব্যক্তি ! (ইটিভি ভারত) পরিবারের তরফে অভিযোগ, শনিবার সকাল থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছিল ৷ ঘরে বিছানায় তখন খেলা করছিল ফুটফুটে শিশু সুজন ৷ অভিযোগ তখনই সুজনকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারেন আবির ৷ এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি ৷ সেই দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করেন আবিরের স্ত্রী শরমা রুইদাস ৷ বাড়ির বাকি সদস্য়দের ডাকেন তিনি ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে ৷ সেখান থেকে তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ৷
এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর দাবি করেছেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তাতেই নাকি ওই শিশুর মৃত্যু হয় ৷ তখনই পরিবারের লোকজন ওই শিশুকে বাড়ি নিয়ে যায় ৷ শিশুর মৃত্যুর খবরে গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায় ৷ খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ পৌঁছে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করে ফের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে ।
তবে, ততক্ষণে খবর আসে দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন রেল লাইনে অভিযুক্ত আবির রুইদাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা কানাই বাউরি বলেন, "দিনমজুরের কাজ করেই সংসার চালাত আবির আর আবিরের স্ত্রী শরমা রুইদাস ৷ প্রায় দিন বিবাদ লেগেই থাকত দু’জনের মধ্যে ৷ শনিবার সকালে সেই বিবাদ চরম পর্যায় পৌঁছায় ৷ তখনই আবির তাঁর কোলের সন্তানকে বিছানা থেকে তুলে আছাড় মারেন ৷ এলাকাবাসীরা আবিরকে চড় থাপ্পর মারতেই এলাকা ছেড়ে পালায় ও ৷ তারপরেই শোনা যায় রেল লাইনে মাথা দিয়েছে সে ৷" ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছান দুর্গাপুর পুরনিগমের বিদায়ী কাউন্সিলর অঙ্কিতা চৌধুরী এবং প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দীপঙ্কর লাহা ৷